ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নাকি প্রতিশোধ—নারী অলিম্পিক ফুটবলের সেমিফাইনাল দেখার পর গত রাত থেকে অনেকেরই হয়তো এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। স্পেনকে ৪-২ গোল হারিয়ে ১৬ বছর পর ফাইনালের টিকিট কাটল ব্রাজিল নারী ফুটবল। শিরোপার লড়াইয়ে ব্রাজিলিয়ানদের প্রতিপক্ষ এখন যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৮ অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রই নারী অলিম্পিকের ফাইনালে ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে জিতেছিল স্বর্ণপদক।
স্পেনের বিপক্ষে এবারের অলিম্পিকের গ্রুপ পর্বে লাল কার্ড খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন ব্রাজিলের মার্তা। সেই ম্যাচ ব্রাজিলকে হারতেও হয়েছিল। কার্ডজনিত সমস্যা থাকায় গত রাতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ মার্শেইতে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিল ব্রাজিল।
স্পেনের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ২–০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিলের নারী ফুটবল দল। যেখানে প্রথম গোলটি ব্রাজিল পেয়েছিল উপহার। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আইরিন পারেদেস করেন আত্মঘাতী গোল। প্রথমার্ধের পর অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড গাবি পোর্তোলিও। ব্যবধান তিন গুণ হয় ৭১ মিনিটে স্ট্রাইকার আদ্রিয়ানার গোলে। ১৪ মিনিট পর ব্যবধান কমিয়েছে স্পেন। ৮৫ মিনিটে স্প্যানিশদের প্রথম গোলটা করেন সালমা পারায়উয়েলো।
৩-১ গোলে এগিয়ে থাকা ব্রাজিল চতুর্থ গোলের দেখা পায় নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ১ মিনিটে গোলটি করেন ব্রাজিলের কেরোলিন। অতিরিক্ত সময়ের ১২ মিনিটে পারায়উয়েলোর দ্বিতীয় গোলটি শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। এর আগে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে নারী ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন যুক্তরাষ্ট্রের ফরোয়ার্ড সোফিয়া স্মিথ। অলিম্পিক নারী ফুটবলে স্বর্ণ পদক জয়ের লড়াইয়ে শনিবার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি।