সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শরিফুল ইসলামের সুখকর ছিল না। ইনজুরিতে থাকায় নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। কিন্তু কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে ফিরে বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৮ ওভার বোলিং করে দিয়েছিলেন ২৮ রান। গত পরশু তৃতীয় ম্যাচে টরন্টো ন্যাশনালসের বিপক্ষে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৩১ রান।
বুধবার শরিফুল করলেন টুর্নামেন্টে নিজের সেরা বোলিং। সারে জাগুয়ার্সের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে ১১ রান দিয়ে নিলেন ৩ উইকেট। একই দিনে তার দল বাংলা টাইগার্স মিসিসাগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
গতকাল বোলারদের নৈপুণ্যে সুনিল নারিন-মার্কাস স্টয়নিসদের সারে জাগুয়ার্সকে মাত্র ১০১ রানে আটকে দেয় বাংলা টাইগার্স মিসিসাগা। যদিও এ রান তুলতেই ১৯ ওভার খেলতে হয়েছে সাকিবদের।
এদিনও যথারীতি শরিফুলের হাতেই নতুন বল তুলে দেন সাকিব। নিজের করা প্রথম ওভারে এ বাঁহাতি পেসার আউট করেন সুনিল নারিনকে। প্রথম ওভারে উইকেট পান সাকিবও। সারে ইনিংসের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে স্কটল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেনকে আউট করেন তিনি।
শরিফুল নিজের তৃতীয় ওভারটি করেন ইনিংসের দশম ওভারে। সেই ওভারের শেষ দুই বলে হামজা তারিক ও হারমিত সিংকে ফেরান। এর পর ভয়ংকর হয়ে ওঠার আভাস দিয়েছিলেন সারে অধিনায়ক স্টয়নিস। তবে ১৬তম ওভারে ২৯ বলে ৩৬ রান করা স্টয়নিসকে ফিরিয়ে সারেকে ছোট সংগ্রহে আটকে রাখা নিশ্চিত করেন সাকিব।
ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ সাকিব। যদিও বল হাতে পুরোনো ছন্দ ফিরে পাওয়ার আভাস দিলেও ব্যাট হাতে চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে রান করেছিলেন ৫। আর টরন্টোর বিপক্ষে করেন ১৫ বলে ২৪ রান। গতকাল ৭ বলে খেলে করেছেন ১ রান।
ব্রাম্পটনে শরিফুল-সাকিবের মিসিসাগা জয় পেয়েছে ৪ উইকেটে। এ জয়ে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে মিসিসাগা। শীর্ষে আছে আরেক বাংলাদেশি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দল মন্ট্রিয়ল টাইগার্স। মন্ট্রিয়লের পয়েন্টও ৬। তবে নেট রান রেটে দলটি মিসিসাগার চেয়ে এগিয়ে আছে। সাকিব ও শরিফুল দুজনই এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ৬টি করে উইকেট নিয়েছেন।