সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুক্রবারের কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে দেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়।
কারণ জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানান, ফিলিস্তিনের পতাকা সারা বিশ্বে নির্যাতিতদের প্রতীক। তাই এই পতাকা হাতে নিয়ে কোটার নামে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থী জানান, পুলিশ দিয়ে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। প্রশাসনকে যৌক্তিক জবাব দিতে হবে। কোটা সংস্কারের পরই তারা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে শাহবাগ আসেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ছাত্র সমাজের অ্যাকশন’, ‘হুমকি দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘বাধা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘বুলেট দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না, পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।
এক দফা দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিটি হলো– সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ) পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।