ফুটবল বিশ্বকাপে অধিপত্য দেখালেও ইউরোতে খানিকটা কোণঠাসা হয়েই থাকতে হয়েছে নেদারল্যান্ডসকে। ডাচদের ইউরোর অতীত ইতিহাস অন্তত সেটাই বলছে। ২০০৪ সালে সবশেষ ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছিল দলটি। আর ইউরো জিতেছিল সেই ১৯৮৮ সালে। অবশেষে ইউরোর আরও একটা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল দলটি। তবে এতে যত না তাদের অবদান, তার চেয়ে বেশি ভুল প্রতিপক্ষ তুরস্কের। আত্মঘাতী গোলে নিজেরাই নিজেদের কবর খুঁড়েছে দলটি। দিনের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিতে পা রেখেছে ইংল্যান্ড।
সেমিতে ওঠার ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ফুটবল বিবেচনা করলে সেই অর্থে তেমন কোনো কঠিন প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা ছিলেন না সুইসরা। তবে এদিন দেখা গেল উল্টো চিত্র। গ্রুপপর্ব ও শেষ ষোলোর দৈন্যদশা ইংল্যান্ড কাটিয়ে উঠতে পারেনি এ ম্যাচেও।
প্রথমার্ধে গোল তো পায়ইনি; বরং ৭৫ মিনিটে এসে গোল হজম করে বসে। তাতে শঙ্কা ঝেঁকে বসে হারের। সেই শঙ্কা অবশ্য দূর করে ম্যাচটাকে টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যান বুকায়ো সাকা। সেখানে ৫-৩ গোলে জয় পায় ইংল্যান্ড। নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল।
এরপর রাতের আরেক ম্যাচে সেমি নিশ্চিত করতে তুরস্কের বিপক্ষে মাঠে নামেন ডাচরা। যেখানে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে ডাচরা পাল্টে দেয় পাশার দান। ৭০ মিনিটে মেম্ফিস ডিপাই কর্নার থেকে ওয়ান-টু খেলে বক্সে ক্রস ফেলেন। সম্পূর্ণ আনমার্কড থেকে হেডে গোল করেন ডাচ সেন্টার-ব্যাক স্তেফান দে ফ্রাই। তবে এরপরও ম্যাচে ছিল তুরস্ক।
যদিও শেষ পর্যন্ত নিজেদের ভুলেই ম্যাচটা হাতছাড়া করেছে তারা। ৭৬ মিনিটে ডেনজেল ডামফ্রিজ ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ডাচ তারকা কোডি গাকপোর কাছ থেকে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে ফেলেন মের্ত মুলডুর। চলতি ইউরোয় যা ১০ম আত্মঘাতী গোল। আর সেই গোলেই শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হয় তুরস্কের বিদায়। ২০ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে পা রাখে নেদারল্যান্ডস।
আগামী ১০ জুলাই রাত ১টায় ইউরোর ফাইনাল নিশ্চিত করতে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ড। যেখানে সবশেষ আসরেও ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইংল্যান্ডের।