একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে দ্বিতীয় ধাপে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ। আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন। দ্বিতীয় ধাপে এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ২ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত।
একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ জুলাই রাত ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ৫ থেকে ৮ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এরপর ১২ জুলাই দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি বছর অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম চলবে। অনলাইন ছাড়া শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন না। এবার আবেদন ফি ১৫০ টাকা।
১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, সেগুলোর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ৩৩৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিত করার পর তিনি আরও দুই ধাপে মাইগ্রেশন করতে পারবেন। শিক্ষার্থীর পছন্দের কলেজ সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে অটো মাইগ্রেশন করা হবে।
যারা আবেদন করতে পারবেন
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা প্রথম ধাপে আবেদন করেননি তারা এ ধাপে আবেদন করতে পারবেন। যারা আবেদন করেও কলেজে মনোনীত হননি, তাদেরকে শুধুমাত্র অনলাইনে নিজের আইডি লগ ইন করে নতুন করে পছন্দক্রম দিতে হবে।
তাছাড়া যারা প্রথম ধাপে কলেজে মনোনীত হয়েও প্রাথমিক নিশ্চায়ন করেননি, তাদেরকেও পুনরায় এ ধাপে ফি পরিশোধ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
তৃতীয় ধাপে আবেদন, ফল প্রকাশ ও ভর্তি
আগামী ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন চলবে। ১২ জুলাই তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৩ ও ১৪ জুলাই তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক নিশ্চায়ন করতে হবে।
তিন ধাপে নির্বাচিত এবং সফলভাবে নিশ্চায়ন করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ১৫ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ৩০ জুলাই অনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১ শিক্ষা বোর্ডে পাস করেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। ফল পুনঃনিরীক্ষণে আরও প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করেন।তবে সারাদেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে।