চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া অংশে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মহাসড়কটিতে পৃথক দুর্ঘটনায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটিয়া চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের খরনা চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও চকরিয়ার দিকে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিতে থাকা দুই যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত ও ৪ জন গুরুতর আহত হন।
নিহতরা হলেন, চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের ইউনুচ মার্কেট এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে আবু বক্কর তাসিব (১৮) ও কক্সবাজার জেলার রামু থানার আহমদ হোসেনের ছেলে নুরুল আলিম (২৭)।
আহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের রাকিব হোসেন (২০), মোহাম্মদ জাবেদ (১৯), মোহাম্মদ সিহাব (২২), চকরিয়ার সিএনজি চালক লিটন (৩৫)।
এসময় বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজির যাত্রীদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্কর তাসিব ও নুরুল আলিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বাকি চারজনকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অপরদিকে, একই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পটিয়া মনসা বাদামতল থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী একটি মিনি বাস ২০০ মিটার অতিক্রম করার পর বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। এসময় বাসটির হেলপার রফিক (২৩) লাফ দিতে গিয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান। নিহতের বাড়ি পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামে বলে জানা গেছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানা ওসি তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, শুক্রবার বিকেল ও রাতে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও আরো অন্তত ৪ জন আহত হন।
রাতে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে মহাসড়কের পটিয়া খরনা চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় পৌঁছে ঘাতক বাসটি ও দুর্ঘটনাকবলিত দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সিএনজিটি জব্দ করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়।এ ঘটনায় নিহতদের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট চন্দনাইশ থানা পুলিশ তদারকি করছেন। তারা নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে আমাদেরকে দেবে। এরপর আমরা সড়ক আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও একই দিন বিকেলে পটিয়া মনসা বাদামতল এলাকায় একটি মিনিবাস উল্টে রফিক নামের একজন হেলপার নিহত হয়েছেন।
চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম সায়েম বলেন, পটিয়ার খরনা চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় বাস-সিএনজি’র মুখোমুখি সংঘর্ষে আমার এলাকার একজনসহ দুজন নিহত হন। চন্দনাইশ থানা পুলিশ বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং হাইওয়ে থানা পুলিশ তাদের আইনি প্রক্রিয়া সেরে নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবেন।