ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙামাটিতে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের ঈদ বাজার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩১ বার

রাঙামাটিতে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের ঈদ বাজার। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলেক্ষ বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন শপিংমলের ব্যবসায়ীরা। এদিকে, ক্রেতারাও শেষ মুহূর্তে এসে তার পছন্দের কাপড়টি কিনে নিতে বিভিন্ন শপিংমলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

রোববার  (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে রাঙামাটি জেলা শহরের বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের  ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বনরুপার বিএম শপিং কমপ্লেক্স-১, বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২, রিজার্ভ বাজার মসজিদ শপিং কমপ্লেক্স, এলকে টাওয়ারসহ বিভিন্ন শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ঈদ বাজারের শেষ সময়ে এসে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক ক্রয় করতে  ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের অনেকেই জানান, এবার রাঙামাটির মানুষ  ঈদুল ফিতরের সাথে পাহাড়িদের  বৈসাবি  উৎসব একসাথে পালন করবে। যে কারণে উৎসবের আমেজটা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।

শহরের বনরুপায় ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে আসা ক্রেতা মো. হাবিব বলেন, এবার বাজারে পণ্যের দামটা সামান্য বেশি। আমি ব্যবসায়ী ভাইদের প্রতি অনুরোধ করবো সাশ্রয়ী মূল্যে ঈদের কাপড় বিক্রয় করলে ক্রেতারা সন্তুষ্ট হবেন।

শহরের বিএম শপিং কমপ্লেক্সের জুতা ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন বলেন, এবার আমরা ঢাকা থেকে যেসব মালগুলো নিয়ে আসছি এগুলোর একটু দাম বেশি। আমরা চেষ্টা করছি স্বল্পলাভে পণ্য বিক্রয় করতে।

এদিকে, বনরুপার রাজু গার্মেন্টস এর মালিক মো. নুরু বলেন, এবার ঈদের বেচাকেনায় গ্রাহকদের অনেক সাড়া পাচ্ছি। এবার আমরা বাচ্চাদের প্রচুর কাপড় এনেছি। এর মধ্যে রয়েছে আলিয়া ও আফগান লেহেঙ্গা ।

তিনি বলেন, কম লাভে আমরা মাল বিক্রয় করছি এতে বেচাকেনাও ভাল হচ্ছে।

এদিকে, আরেক ক্রেতা মো. মনা বলেন, এবার পাঞ্জাবির দামটা একটু বেশি। দাম যদি একটু কম হতো তাহলে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতো

শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র  বনরুপার আলিফ মাকেটের ব্যবসায়ী মো. মেজবাহ বলেন, এবার এখানে ঈদ ও বিজু দুটি উৎসবের কারণে বেচাকেনা ভালো।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা আসলে তারা স্বল্প লাভে কাপড় বিক্রয় করছেন। যাতে সাধারণ মানুষ তার প্রিয় পোশাকটা নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙামাটিতে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের ঈদ বাজার

আপডেট টাইম : ১১:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

রাঙামাটিতে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের ঈদ বাজার। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলেক্ষ বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন শপিংমলের ব্যবসায়ীরা। এদিকে, ক্রেতারাও শেষ মুহূর্তে এসে তার পছন্দের কাপড়টি কিনে নিতে বিভিন্ন শপিংমলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

রোববার  (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে রাঙামাটি জেলা শহরের বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের  ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বনরুপার বিএম শপিং কমপ্লেক্স-১, বিএম শপিং কমপ্লেক্স-২, রিজার্ভ বাজার মসজিদ শপিং কমপ্লেক্স, এলকে টাওয়ারসহ বিভিন্ন শপিংমলে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। ঈদ বাজারের শেষ সময়ে এসে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক ক্রয় করতে  ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের অনেকেই জানান, এবার রাঙামাটির মানুষ  ঈদুল ফিতরের সাথে পাহাড়িদের  বৈসাবি  উৎসব একসাথে পালন করবে। যে কারণে উৎসবের আমেজটা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।

শহরের বনরুপায় ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে আসা ক্রেতা মো. হাবিব বলেন, এবার বাজারে পণ্যের দামটা সামান্য বেশি। আমি ব্যবসায়ী ভাইদের প্রতি অনুরোধ করবো সাশ্রয়ী মূল্যে ঈদের কাপড় বিক্রয় করলে ক্রেতারা সন্তুষ্ট হবেন।

শহরের বিএম শপিং কমপ্লেক্সের জুতা ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন বলেন, এবার আমরা ঢাকা থেকে যেসব মালগুলো নিয়ে আসছি এগুলোর একটু দাম বেশি। আমরা চেষ্টা করছি স্বল্পলাভে পণ্য বিক্রয় করতে।

এদিকে, বনরুপার রাজু গার্মেন্টস এর মালিক মো. নুরু বলেন, এবার ঈদের বেচাকেনায় গ্রাহকদের অনেক সাড়া পাচ্ছি। এবার আমরা বাচ্চাদের প্রচুর কাপড় এনেছি। এর মধ্যে রয়েছে আলিয়া ও আফগান লেহেঙ্গা ।

তিনি বলেন, কম লাভে আমরা মাল বিক্রয় করছি এতে বেচাকেনাও ভাল হচ্ছে।

এদিকে, আরেক ক্রেতা মো. মনা বলেন, এবার পাঞ্জাবির দামটা একটু বেশি। দাম যদি একটু কম হতো তাহলে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতো

শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র  বনরুপার আলিফ মাকেটের ব্যবসায়ী মো. মেজবাহ বলেন, এবার এখানে ঈদ ও বিজু দুটি উৎসবের কারণে বেচাকেনা ভালো।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা আসলে তারা স্বল্প লাভে কাপড় বিক্রয় করছেন। যাতে সাধারণ মানুষ তার প্রিয় পোশাকটা নিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারে।