পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে রানা মিয়া (২৫) নামের এক যুবক এবং গোসল করতে নেমে আল আমিন (১২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ও বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রামনাথপুর এবয় খয়েরবাড়ি গ্রামে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আল আমিন উপজলার মুলাডুলি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম বাশারের ছেলে। আর রানা মিয়া ঈশ্বরদী শহরের পূর্বটেংরী ঈদগাহ পাড়া এলাকার কাশেম আলীর ছেলে এবং খয়েরবাড়ি গ্রামের ফোরকান শেখের জামাই।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে পুকুরে যায় আল আমিন। এ সময় যাওয়ার পথে নতুন খননকৃত একটি পুকুর দেখে আচমকা আল আমিন লাফ দেয়। সাঁতার না জানায় পুকুরের গর্ত অনেক গভীর হওয়ায় আল আমিন পানির নিচে তলিয়ে যায়। এ সময় বন্ধুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুকুর থেকে আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে একইদিন বিকেলে আসরের নামাজের পর রানা মিয়া তার শ্বশুর বাড়িতে যান। সাঁতার না জানায় শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে কলাগাছের সাহায্য নিয়ে পুকুরে সাঁতার শিখতে নামেন। কলা গাছ নিয়ে সাঁতার কাটতে কাটতে মাঝ পুকুরে গেলে হঠাৎ কলার গাছ হাত থেকে ফসকে রানা পুকুরে তলিয়ে যায়।
এ সময় সাথে থাকা শ্যালক এবং পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা রানার স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে রানাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে রানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা খবর পেয়েছি। অভিযোগ না থাকায় পরিবারকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।