চলছে বর্ষাকালের ভরা মৌসুম, গ্রামাঞ্চলের নদী নালা খালবিল এখন ভরাট ,পানি থৈ থৈ করছে। কিন্তু কোন মাছের দেখা নেই । ঘুড়ি ঘুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে আবার প্রখর রোদ পানি সুখিয়ে খাঁ খাঁ করছে তবুও চোখে পড়ে না দেশী প্রজাতির মাছ।
দিনাজপুর চিরিরবন্দরের ১২ টি উপজেলার প্রতন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা মেলেনি দেশীপ্রজাতির মাছ ধরার দৃশ্য। গ্রামাঞ্চলের মানুষ পাতাজাল, ধর্মজাল, বেড়াজাল কারেন্ট জাল.বর্সি ইত্যাদি দিয়ে মাছ ধরত। মাছ খেতে খেতে বিমুখ হয়ে যেত। কিন্তু এখন আর সেই মাছ গ্রামাঞ্চলের মানুষ চোখে দেখতে পাচ্ছে না। গ্রামাঞ্চলে এসব দেশীয় মাছ বিলুপ্ত পথে প্রায়। তাই “মাছে ভাতে বাঙালি” কথাটি যেন এখন হারিয়ে যেতে চলেছে।
গ্রামাঞ্চলের খাল বিল, নদ নদীসহ মুক্ত জলাশয় গুলো মাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দেশিয় প্রজাতির মাছ কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ বলে সচেতন মহল মনে করছেন। ইতোমধ্যে এ অঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবদা, সরপুঁটি, তিতপুঁটি, টেংরা, চান্দা, কৈ, শিং, মাগুর, বেলে, শৈল, গজার, বোয়াল, বাইম, চিতলসহ দেশিয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
গ্রামাঞ্চলের ছোট বড় হাট বাজারগুলোতেও এ প্রজাতির মাছ আগের মতো এখন আর তেমন দেখা যায় না। এখন গ্রামাঞ্চলের হাটবাজার গুলোতে এ প্রজাতির মাছের আমদানি একেবারেই নেই বললেই চলে। তবে মাঝে মধ্যে কিছু মাছ হাটবাজারে ওঠলেও সেগুলো চলে যায় বিত্তবানদের ঘরে। অতিরিক্ত দামের কারনে মধ্যম পেশার লোকজন কিনতে পারছেন না। ধারনা করা হচ্ছে , এ অবস্থা বিরাজ থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে নদনদী,খাল বিলসহ মুক্ত জলাশয়গুলোতে প্রাকৃতিক মাছ শূন্য হয়ে পড়বে। অপরদিকে, অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার ও সেচ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হচ্ছে।