ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লাকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে অফে বরিশাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৩৫ বার
খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে রান রেটের বিশাল পার্থক্যের কারণে প্লে-অফ অনেকটা নিশ্চিতই ছিল ফরচুন বরিশালের। তবু শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করেছে বরিশাল। চট্টগ্রাম পর্বের পর একদিনের বিরতি দিয়ে আজ মাঠে ফিরেছে বিপিএল। লিগ পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল।

এই জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে বরিশাল। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের রাতের ম্যাচটা তাই এখন কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় কুমিল্লা। রান তাড়ায় শুরুতেই আহমেদ শেহজাদকে হারায় বরিশাল।
অফ স্পিনার এনামুল হকের বলে উইকেট কিপার মাইদুল ইসলাম অংকনের হাতে স্টাম্পড হয়েছেন শেহজাদ। এরপর তামিম ইকবাল ও কাইল মায়ার্সের ৬৪ রানের জুটি। মায়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার মুশফিক হাসাম। ২৫ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান করেছেন মায়ার্স।
চারে নেমে মুশফিকুর রহিম অবশ্য রানের গতি বাড়াতে পারেননি।
এই অভিজ্ঞ ব্যাটার আউট হয়েছেন ২৪ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে। তবে তামিমের ৬৬ এবং শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১২ ও সৌম্য সরকারের ৬ রানে জয় নিয়ে মাঠে ছেড়েছে বরিশাল। কুমিল্লা লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার বড় কৃতিত্ব জাকের আলী অনিকের। সাতে নেমে জাকের ১৬ বলে ৩৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন।
তাঁর ২৩৭.৫০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস সাজানো ৪ ছক্কা ও দুই চারে। জাকেরের ইনিংস দেখে বোঝার উপায় ছিলো না একই উইকেটে কুমিল্লার ব্যাটাররা রানের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
কোনো ব্যাটারই সেভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি। বরিশালের কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাইজুল ইসলামরা দারুণ বোলিং করেছেন। তবে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন ক্যারিবিয়ান পেসার ওবেদ ম্যাককয়। সুনিল নারিন ও লিটন দাসের ২৪ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। ১৬ রানে ফেরেন নারিন। এরপর সুবিধা করতে পারেননি লিটন (১২), মাইদুল ইসলাম অংকন (১) ও তাওহিদ হৃদয় (২৫)।
আন্দ্রে রাসেল ও মঈন আলির জুটিতে ঝড়ের আভাস ছিল বটে। তবে রাসেলকে  ১৪ রানে তাইজুল ও মঈনকে ২৩ রানে ফেরান আকিফ জাভেদ। কুমিল্লার ইনিংসের বাকি গল্পটা জাকেরের। তবে তাঁর ঝোড়ো ইনিংস লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেও অবশ্য জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লাকে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে প্লে অফে বরিশাল

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
খুলনা টাইগার্সের সঙ্গে রান রেটের বিশাল পার্থক্যের কারণে প্লে-অফ অনেকটা নিশ্চিতই ছিল ফরচুন বরিশালের। তবু শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করেছে বরিশাল। চট্টগ্রাম পর্বের পর একদিনের বিরতি দিয়ে আজ মাঠে ফিরেছে বিপিএল। লিগ পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল।

এই জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে বরিশাল। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের রাতের ম্যাচটা তাই এখন কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় কুমিল্লা। রান তাড়ায় শুরুতেই আহমেদ শেহজাদকে হারায় বরিশাল।
অফ স্পিনার এনামুল হকের বলে উইকেট কিপার মাইদুল ইসলাম অংকনের হাতে স্টাম্পড হয়েছেন শেহজাদ। এরপর তামিম ইকবাল ও কাইল মায়ার্সের ৬৪ রানের জুটি। মায়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার মুশফিক হাসাম। ২৫ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান করেছেন মায়ার্স।
চারে নেমে মুশফিকুর রহিম অবশ্য রানের গতি বাড়াতে পারেননি।
এই অভিজ্ঞ ব্যাটার আউট হয়েছেন ২৪ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে। তবে তামিমের ৬৬ এবং শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১২ ও সৌম্য সরকারের ৬ রানে জয় নিয়ে মাঠে ছেড়েছে বরিশাল। কুমিল্লা লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার বড় কৃতিত্ব জাকের আলী অনিকের। সাতে নেমে জাকের ১৬ বলে ৩৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন।
তাঁর ২৩৭.৫০ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস সাজানো ৪ ছক্কা ও দুই চারে। জাকেরের ইনিংস দেখে বোঝার উপায় ছিলো না একই উইকেটে কুমিল্লার ব্যাটাররা রানের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
কোনো ব্যাটারই সেভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি। বরিশালের কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাইজুল ইসলামরা দারুণ বোলিং করেছেন। তবে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন ক্যারিবিয়ান পেসার ওবেদ ম্যাককয়। সুনিল নারিন ও লিটন দাসের ২৪ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। ১৬ রানে ফেরেন নারিন। এরপর সুবিধা করতে পারেননি লিটন (১২), মাইদুল ইসলাম অংকন (১) ও তাওহিদ হৃদয় (২৫)।
আন্দ্রে রাসেল ও মঈন আলির জুটিতে ঝড়ের আভাস ছিল বটে। তবে রাসেলকে  ১৪ রানে তাইজুল ও মঈনকে ২৩ রানে ফেরান আকিফ জাভেদ। কুমিল্লার ইনিংসের বাকি গল্পটা জাকেরের। তবে তাঁর ঝোড়ো ইনিংস লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেও অবশ্য জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।