মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হন। এরপর দায়িত্ব পেলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান।
স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী দেখার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন লালন করত নান্দাইলের জনগণ। অবশেষে স্বাধীনতার পর প্রথম মন্ত্রী পেল নান্দাইলবাসী।
একজন দক্ষ, সৎ, নিষ্ঠাবান ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত নৌকার মাঝি নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম মন্ত্রিসভায় ডাক পেয়েছেন। এতে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।
সংবাদমাধ্যমে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার খবর শুনে দলীয় নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ, আতশবাজি ও আনন্দ মিছিল করেন। নান্দাইলের সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে এখন আনন্দের বন্যা বইছে।
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, আমাদের নেতা মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সাহেবকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
এছাড়া বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম রেণু ও অ্যাডভোকেট আসাদ্দুজ্জামান নয়ন বলেন, নান্দাইলবাসীর বহুদিনের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নান্দাইল তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন এবার বহুধাপ এগিয়ে যাবে।
প্রবীণ শিক্ষক আলী আফজাল খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও নান্দাইল দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ফকির বলেন, নান্দাইলবাসী যোগ্য নেতা নির্বাচিত করায় ফলস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর এ উপহারে আমরা নান্দাইলবাসী খুব গর্বিত।
উল্লেখ্য, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করে তিনি ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে এমপি পদে জয়লাভ করেন। ২০০১ সালে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও পরবর্তীতে ২০০৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) সাবেক প্রধান, সাবেক রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও ২০২৩ সালে পুনরায় নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত তিনি তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে আওয়ামী লীগের হাল ধরে রেখেছেন।