গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কথা বলার ক্ষমতা থেকে মানুষ যখন বঞ্চিত হয়, সরকার যখন গণতন্ত্রের আদর্শ থেকে দূরে সরে যায়, তখনই জঙ্গি হামলার মত সমস্যা দেখা দেয়।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও শান্তি সম্প্রতি প্রতিষ্ঠায় অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক শক্তির জাতীয় ঐক্য চাই’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজনে ২০টিরও অধিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।
ডা. জাফরউল্লাহ বলেন, জঙ্গিরা যা করছে, এটা একটা প্রতিবাদ। যদিও ভাষা ও পদ্ধতি ভুল। কিন্তু কেন এর উদ্ভব হয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি
বলেন, সরকারকে তার বলপ্রয়োগ মনোভাব থেকে দূরে আসতে হবে। সুকৌশলে সবার সঙ্গে আলোচনা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে তাদের দমন করতে হবে।
কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশ বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ। এখানে বহু মত ও পথের সুযোগ আছে। এখানে কোনোভাবেই জঙ্গিরা বাসা বাঁধতে পারবে না। তবে এসব নিরসনে ঐক্যের প্রয়োজন। জাতীয় ঐক্য ছাড়া শুধু প্রশাসনের ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না।
বাংলাদেশ নির্বাচনের কমিশনের সাবেক কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মতবাদ যদি সন্ত্রাসে রূপ নেয় তা আর মতবাদ থাকে না। সে কারণে তাকে পরিহার করতে হবে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণ বিভাজিত রাজনীতিই দায়ী।
সুজনের পক্ষ থেকে এসময় কয়েকটি দাবি পেশ করা হয়। তার মধ্যে জঙ্গিবাদী তৎপরতা কঠোর হাতে দমন করা; তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা; জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও শান্তি সম্প্রতি প্রতিষ্ঠায় অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক শক্তির জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা; ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করণসহ রাজনীতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করা; রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বন্ধ করে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া।
এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন প্রমুখ।