ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাজাপোড়া খেলেই শরীরে অস্বস্তি, মেনে চলুন কিছু নিয়ম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৯৯ বার

শীতে মানেই উৎসব, লাগাম ছাড়া খাওয়াদাওয়া। এ সময় পার্টি, পিকনিক, ভ্রমণ, বিয়েবাড়ি লেগেই থাকে। পাশাপাশি রোজ সন্ধ্যা বেলায়ও ভাজাভুজি খেতে মন চায়। চপ, পাকোড়া, শিঙাড়া, চাউমিন, রোল, মোমো – কিছু না কিছু থাকে প্রায় দিনের বিকেলের মেনুতে। কিন্তু তেল-মসলাদার খাবার খাওয়ার পরেই শুরু হয় অস্বস্তি। পেট ভার হয়ে থাকে। গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। রোজ এই ভাবে খেতে থাকলে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

রোজ রোজ ভাজাপোড়া খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। মাধ্যেমধ্যে খেলে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত।

গরম পানি পান করুন:ভাজাভুজি খাওয়ার পর পানি পিপাসা পেলে হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে তাড়াতাড়ি খাবার হজম হয়। ফলে পেট ভার হয়ে থাকে না।

গ্রিন টি : ভাজাভুজি খাওয়ার পর গ্রিন টি-ও খেতে পারেন। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ভালো হজমে সাহায্য করে। তাই তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রিন টি খেলে শরীরের অস্বস্তি ভাব দূর হবে।

টক দই : আয়ুর্বেদ অনুসারে, ভারী খাবার খেয়ে তারপর এক বাটি টক দই খেলে সবচেয়ে উপকার পাবেন। দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আর খাবারও দ্রুত হজম হয়। টক দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে।

ঠাণ্ডা খাবার খাবেন না : ভাজাভুজি খাওয়ার পরপরই আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা কোমল পানীয় ভুলেও খাবেন না। এই সব খাবার হজম প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়, ফলে পেট ভার হয়ে থাকে। বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক অস্বস্তি আরও বাড়ে।

কিছুক্ষণ হাঁটুন: তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যাবেন না। এতে হজমের গোলমাল শুরু হয়। শারীরিক অস্বস্তি আরও বাড়ে। তাই খাবার খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে। শুধু যে তেলেভাজা খাওয়ার পরই হাঁটতে হবে তা কিন্তু নয়, প্রতিটি বড় খাবারের পরেই বেশ খানিকক্ষণ হাঁটাচলা করা শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভালো। এতে হজম ভালো হয় এবং বিপাকও বাড়ে।

জোয়ানের পানি : খাবারের পরে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ জোয়ান খাওয়া খুবই উপকারী। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়। গ্যাস, অ্যাসিডিট, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের সমস্যা দেখা দেয় না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাজাপোড়া খেলেই শরীরে অস্বস্তি, মেনে চলুন কিছু নিয়ম

আপডেট টাইম : ১২:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

শীতে মানেই উৎসব, লাগাম ছাড়া খাওয়াদাওয়া। এ সময় পার্টি, পিকনিক, ভ্রমণ, বিয়েবাড়ি লেগেই থাকে। পাশাপাশি রোজ সন্ধ্যা বেলায়ও ভাজাভুজি খেতে মন চায়। চপ, পাকোড়া, শিঙাড়া, চাউমিন, রোল, মোমো – কিছু না কিছু থাকে প্রায় দিনের বিকেলের মেনুতে। কিন্তু তেল-মসলাদার খাবার খাওয়ার পরেই শুরু হয় অস্বস্তি। পেট ভার হয়ে থাকে। গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। রোজ এই ভাবে খেতে থাকলে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

রোজ রোজ ভাজাপোড়া খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। মাধ্যেমধ্যে খেলে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত।

গরম পানি পান করুন:ভাজাভুজি খাওয়ার পর পানি পিপাসা পেলে হালকা গরম পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে তাড়াতাড়ি খাবার হজম হয়। ফলে পেট ভার হয়ে থাকে না।

গ্রিন টি : ভাজাভুজি খাওয়ার পর গ্রিন টি-ও খেতে পারেন। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ভালো হজমে সাহায্য করে। তাই তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রিন টি খেলে শরীরের অস্বস্তি ভাব দূর হবে।

টক দই : আয়ুর্বেদ অনুসারে, ভারী খাবার খেয়ে তারপর এক বাটি টক দই খেলে সবচেয়ে উপকার পাবেন। দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আর খাবারও দ্রুত হজম হয়। টক দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে।

ঠাণ্ডা খাবার খাবেন না : ভাজাভুজি খাওয়ার পরপরই আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা কোমল পানীয় ভুলেও খাবেন না। এই সব খাবার হজম প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়, ফলে পেট ভার হয়ে থাকে। বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক অস্বস্তি আরও বাড়ে।

কিছুক্ষণ হাঁটুন: তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাতে যাবেন না। এতে হজমের গোলমাল শুরু হয়। শারীরিক অস্বস্তি আরও বাড়ে। তাই খাবার খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হবে। শুধু যে তেলেভাজা খাওয়ার পরই হাঁটতে হবে তা কিন্তু নয়, প্রতিটি বড় খাবারের পরেই বেশ খানিকক্ষণ হাঁটাচলা করা শরীরের পক্ষে সবচেয়ে ভালো। এতে হজম ভালো হয় এবং বিপাকও বাড়ে।

জোয়ানের পানি : খাবারের পরে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ জোয়ান খাওয়া খুবই উপকারী। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়। গ্যাস, অ্যাসিডিট, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের সমস্যা দেখা দেয় না।