ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কখন, কোথায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮৭ বার
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আজ সোমবার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি মঙ্গলবার ভোর থেকে সকালের মধ্যে ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা না থাকলেও এর প্রভাবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ সন্ধ্যা ৬টায় পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার মধ্যে (ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা) ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

এ সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সিস্টেমটি (ঘূর্ণিঝড়) থেকে মঙ্গলবার বাংলাদেশের দিকে হালকা কিছু মেঘ বেরিয়ে আসতে পারে। এতে দেশের উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও  হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু সিস্টেমটি (ঘূর্ণিঝড়) চলে যাওয়ার পরে আরো বেশি পরিমাণ মেঘ আসতে পারে বাংলাদেশের দিকে।

ফলে বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে।’
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কখন, কোথায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’

আপডেট টাইম : ১২:১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আজ সোমবার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি মঙ্গলবার ভোর থেকে সকালের মধ্যে ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা না থাকলেও এর প্রভাবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ সন্ধ্যা ৬টায় পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার মধ্যে (ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা) ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

এ সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সিস্টেমটি (ঘূর্ণিঝড়) থেকে মঙ্গলবার বাংলাদেশের দিকে হালকা কিছু মেঘ বেরিয়ে আসতে পারে। এতে দেশের উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও  হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু সিস্টেমটি (ঘূর্ণিঝড়) চলে যাওয়ার পরে আরো বেশি পরিমাণ মেঘ আসতে পারে বাংলাদেশের দিকে।

ফলে বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে।’