ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে ফিশারি লিজ না দেওয়ায় বিষ দিলো পার্শ্ববর্তী ফিশারির লোকেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • ৯৬ বার

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলায় মদন ইউনিয়নের উচিতপুর বাঁধবান্নী হাওরে রফিকুল ইসলামের ফিশারি, পার্শ্ববর্তী ফিশারির মালিক নুরুজ্জামাল (৫০) ও রাব্বিল (৩০) এর কাছে লিজ না দেওয়ায়, শুক্রবার দিবাগত-রাতে (৩ নভেম্বর) বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে রফিকুল ইসলামের ফিশারির মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে ঐ দু’জনের বিরুদ্ধে।

কুলিয়াটি দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, উচিতপুর গ্রামের মৃত আলকাস আলীর ছেলে নুরুজ্জামাল ও মৃত ইহব আলীর ছেলে রাব্বিলের উচিতপুর হাওরে ফিশারি রয়েছে। তাদের ফিশারির পাশেই আমারও একটি ফিশারি আছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ফিশারি লিজ নেওয়ার জন্য পায়তারা করছিলো। কিন্তু লিজ না দেওয়ায়, জেদের বশবতী হয়ে তারা আমার ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে।

তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো জানান, গত দুই মাস যাবৎ আমার ফিশারি দেখাশুনা করছি। প্রতিদিন খাবার দিয়েছি। খাবারসহ সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর ১ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করেছিলাম। এ বছরও প্রায় এক-দেড় লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করা যেতো। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সরজমিনে গিয়ে নুরুজ্জামাল ও রাব্বিলকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে ফিশারি লিজ না দেওয়ায় বিষ দিলো পার্শ্ববর্তী ফিশারির লোকেরা

আপডেট টাইম : ০২:১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলায় মদন ইউনিয়নের উচিতপুর বাঁধবান্নী হাওরে রফিকুল ইসলামের ফিশারি, পার্শ্ববর্তী ফিশারির মালিক নুরুজ্জামাল (৫০) ও রাব্বিল (৩০) এর কাছে লিজ না দেওয়ায়, শুক্রবার দিবাগত-রাতে (৩ নভেম্বর) বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে রফিকুল ইসলামের ফিশারির মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে ঐ দু’জনের বিরুদ্ধে।

কুলিয়াটি দক্ষিণপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, উচিতপুর গ্রামের মৃত আলকাস আলীর ছেলে নুরুজ্জামাল ও মৃত ইহব আলীর ছেলে রাব্বিলের উচিতপুর হাওরে ফিশারি রয়েছে। তাদের ফিশারির পাশেই আমারও একটি ফিশারি আছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ফিশারি লিজ নেওয়ার জন্য পায়তারা করছিলো। কিন্তু লিজ না দেওয়ায়, জেদের বশবতী হয়ে তারা আমার ফিশারিতে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে।

তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো জানান, গত দুই মাস যাবৎ আমার ফিশারি দেখাশুনা করছি। প্রতিদিন খাবার দিয়েছি। খাবারসহ সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর ১ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করেছিলাম। এ বছরও প্রায় এক-দেড় লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করা যেতো। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সরজমিনে গিয়ে নুরুজ্জামাল ও রাব্বিলকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।