লেবাননের ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে ইসরায়েলি সংঘর্ষে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের ওই ড্রোন ভূপাতিত করে হিজবুল্লাহ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই লেবাননের সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষের পরিধি বেড়েই চলেছে এবং এর মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার খবর সামনে এলো।
এতে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যেই লেবাননের সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষের পরিধি বেড়েই চলেছে এবং এর মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার খবর সামনে এলো। ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে দক্ষিণ লেবাননের আকাশে ইসরায়েলি ড্রোনে হামলা চালিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে লেবাননের সীমান্তে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর মধ্যেই প্রথমবারের মতো কোনও ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিতের কথা জানাল লেবাননের শক্তিশালী এই গোষ্ঠীটি।
হিজবুল্লাহ আরও জানায়, ইসরায়েলি ওই ড্রোনটিকে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ৫ কিমি (৩ মাইল) দূরে খিয়ামের কাছে মিসাইল দিয়ে আঘাত করা হয় এবং পরে সেটিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্রও জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে রোববার লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবাননে (ইউনিফিল) জানায়, শনিবার লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তের হাউলা গ্রামের কাছে তাদের ঘাঁটিতে গোলার আঘাতের পর তাদের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, তিন সপ্তাহ আগে গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী প্রতিদিনই গুলি বিনিময় করছে। সীমান্তে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত এবং আরও ৪৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় হিজবুল্লাহ।
ইউনিফিল গত শনিবার বলেছে, লেবাননের উপকূলীয় শহর নাকোরার কাছে তার সদর দপ্তরের ঘাঁটির ভেতরেও গোলা আঘাত হেনেছে এবং এতে সেখানে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জাতিসংঘের এই লেবানন শান্তিরক্ষা বাহিনী লিখেছে, ‘ইউনিফিল আমাদের সৈন্যদের ওপর এই দুটি হামলার জন্য গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। দক্ষিণ লেবাননে স্থিতিশীলতা পুনরায় নিশ্চিত করতে এবং এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি শান্ত করতে শান্তিরক্ষীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।’