মোঃ নিজাম উদ্দিন, স্থানীয় প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা’র আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের গোপাল আশ্রম গ্রামে লিটন মেম্বারের লোকজন জোরপূর্বক ভাবে লালচান মিয়া জমির উপর দিয়ে ব্যাক্তিগত রাস্তা নিতে চাইলে, লালচান মিয়া রাস্তা দিতে রাজি না হওয়ায়, তার বাড়িতে ডুকে লালচানসহ পরিবারের লোকজনকে লিটন মেম্বারের লোকজন মারধরের করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গোপাল আশ্রম গ্রামের সুখারী ইউপি সদস্য লিটন মিয়ার ভাই আলী রহমান (৩৫) দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ইসুতে নিরীহ লালচান ও তার পরিবারকে মানসিক ভাবে অত্যাচার করে আসছে।
এবার রাস্তা নেওয়াকে কেন্দ্র করে মেম্বারের লোকজন লালচান মিয়ার বাড়িতে ডুকে, লালচান ও তার ৩ ছেলে, ১ মেয়ে এবং পুত্রবধূসহ মোট ৬ জনকে মারাত্মক ভাবে জখম করে। স্থানীয় লোকজন সবাইকে প্রথমে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লালচান ও তার ৩ ছেলেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুত্রবধু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন এবং মেয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে লালচানের মেয়ে প্রিয়াংকা জানান, লিটন মেম্বারের ভাই আলী রহমান আমাদের বাড়ির মাঝখান দিয়ে রাস্তা নিতে চায়। আমরা রাজি না হওয়ায় আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের সবাইকে মারধর করেছে। এখন শুনছি, উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য, তাদের কিছু লোককে রোগী সাজিয়ে আটপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
ইউপি সদস্য লিটন মিয়া জানান, ঝগড়ার সময় আমি অন্যত্র ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল (লালচানের বাড়ির পাশে) এসে দেখি ঝগড়া শেষ।
সুখারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাজাহান জানান, আমার পরিষদের কোনো মেম্বার ঝগড়ায় নেতৃত্ব দিলে, আমি সমর্থন করব না। আমি জনগণের প্রতিনিধি , আমি ন্যায়ের পক্ষে আছি।
আটপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।