ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে একসঙ্গে ৩২ সহপাঠীর মৃত্যু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৯২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মরক্কোয় গত ৮ সেপ্টেম্পর রাতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ৯০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় দুই হাজার মানুষ। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এদের মধ্যে ১৪০০ এর বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে আহত।নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির মারাকেশের একজন স্কুলশিক্ষক নাসরিন আল-ফাদেল জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছেই ছিল তার স্কুল। আরবি ও ফরাসি ভাষার শিক্ষক নাসরিন ভূমিকম্পের পরেই তিনি আদাসিল গ্রামে ছুটে যান।

সেখানে তিনি তার শিক্ষার্থীদের খুঁজতে গিয়ে জানতে পারেন, ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী তার সকল শিক্ষার্থী ভূমিকম্পে মারা গেছে। বিবিসিকে নাসরিন বলেন, আমি ভূমিকম্পের পরেই গ্রামে ছুটে যাই এবং বাচ্চাদের কথা জিজ্ঞেস করি। সোমায়া কোথায়? কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর আসে। তাদের কেউ বেঁচে নেই।

একসঙ্গে ৩২ শিক্ষার্থীকে হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নাসরিন। তিনি আরও বলেছেন, গত শুক্রবার শেষবারের মতো আমি তাদের ক্লাস নিই। এর পাঁচ ঘণ্টা পরই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ইউএসজিএস জানায়, মরক্কোয় সেইদিনের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাকেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে।

ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের নিচে থাকা দুই টেকটোনিকে প্লেটের সংঘর্ষ থেকেই এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ভূমিকম্পে একসঙ্গে ৩২ সহপাঠীর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১১:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মরক্কোয় গত ৮ সেপ্টেম্পর রাতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ৯০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় দুই হাজার মানুষ। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এদের মধ্যে ১৪০০ এর বেশি মানুষ মারাত্মকভাবে আহত।নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির মারাকেশের একজন স্কুলশিক্ষক নাসরিন আল-ফাদেল জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছেই ছিল তার স্কুল। আরবি ও ফরাসি ভাষার শিক্ষক নাসরিন ভূমিকম্পের পরেই তিনি আদাসিল গ্রামে ছুটে যান।

সেখানে তিনি তার শিক্ষার্থীদের খুঁজতে গিয়ে জানতে পারেন, ছয় থেকে ১২ বছর বয়সী তার সকল শিক্ষার্থী ভূমিকম্পে মারা গেছে। বিবিসিকে নাসরিন বলেন, আমি ভূমিকম্পের পরেই গ্রামে ছুটে যাই এবং বাচ্চাদের কথা জিজ্ঞেস করি। সোমায়া কোথায়? কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর আসে। তাদের কেউ বেঁচে নেই।

একসঙ্গে ৩২ শিক্ষার্থীকে হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নাসরিন। তিনি আরও বলেছেন, গত শুক্রবার শেষবারের মতো আমি তাদের ক্লাস নিই। এর পাঁচ ঘণ্টা পরই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ইউএসজিএস জানায়, মরক্কোয় সেইদিনের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাকেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে।

ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের নিচে থাকা দুই টেকটোনিকে প্লেটের সংঘর্ষ থেকেই এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি।