রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সরকার রেলব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি জেলাকে রেলপথের সঙ্গে যুক্ত করা। মিটারগেজ ও ব্রডগেজের জায়গায় এক পদ্ধতির রেলপথ চালু করা। সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইন করা। রেলকে নদী ও সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করা। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎবাহিত রেল চালু করে রেলের উন্নয়ন ঘটানো।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে ভাঙ্গা থেকে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী, বরিশাল, পায়রা হয়ে পর্যটন শহর কুয়াকাটা পর্যন্ত রেল চালু করা হবে। ভাঙ্গা-ঢাকা পথে রেল চলাচল বাড়বে। অনেক ট্রেনের পথ পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল রান) চলাচলের একটি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গার বামনকান্দায় ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনে পৌঁছান রেলমন্ত্রী। পরে সেখানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তারিখ দিয়েছেন। এ রেললাইন উদ্বোধনের ফলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে দেশের। পাশাপাশি দক্ষিণ প্রতি অঞ্চলের মানুষের আত্মসমাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, এ রেলওয়ে এবং ট্রেন আধুনিক বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। এটা বাংলাদেশের প্রথম এবং সেটি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
ট্রেন চলাচলের সময় ট্রেনে যাত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিমউদ্দিন, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।