হাওর বার্তা ডেস্কঃ শ্যামলী পরিবহনের সঙ্গে বিরোধে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল রয়েছে। ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
অনেক যাত্রী রাজবাড়ী শহরের মুরগি ফার্ম ও মালিক সমিতির বাস কাউন্টারে এসে ফিরে গেছেন। অনেকে লোকাল বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দৌলতদিয়াঘাট পর্যন্ত এসে ফেরি ও লঞ্চে নদী পার হয়ে ওপার থেকে লোকাল বাসে ঢাকা যাচ্ছেন।
ঢাকাগামী যাত্রী ফরিদ হোসেন বলেন, ‘বাস বন্ধের বিষয়টি জানা ছিল না। কাউন্টারে এসে জানতে পারি বাস চলাচল বন্ধ। জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যেতে হবে। এ কারণে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন বলেন, ‘ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে রাতে শ্যামলী পরিবহনের দুটি বাস চলত। এতে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু ৩ সেপ্টেম্বর শ্যামলী পরিবহন হঠাৎ করে এ রুটে দিনের বেলায় একটি ট্রিপ নিয়ে আসে। এভাবে তারা বাস চালালে আমাদের ব্যবসায়ী ক্ষতি হয়। সে কারণে ওই বাসটি আটকে দিয়ে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। শ্যামলী পরিবহন কর্তৃপক্ষ রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করুক। তাদের ট্রিপ নির্ধারণ করে দেব। এরপর তারা শান্তিপূর্ণভাবে বাস চালাক। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার সকালে রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় যাত্রীসহ বাস পাঠালে গাবতলী বাস টার্মিনালে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বাসটি আটকে দেয়। এরপর তারা গাবতলী বাস টার্মিনালে রাজবাড়ীর বাসের সব কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে সেখান থেকে কোনো বাস ছাড়তে দিচ্ছে না। এ কারণে রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
শ্যামলী পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের ম্যানেজার প্রভাত রায় বলেন, রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে গোল্ডেন লাইনের দুটি, শ্যামলী পরিবহনের ৪টি বাসের রোড পারমিট রয়েছে। সোমবার দিনের বেলায় একটি গাড়ি আসার সময় রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতি আটকে দেয়। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।