হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর সুন্দরবনে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ শুরু হয়েছে। সুন্দরবনে প্রবেশ করা দুটি জাহাজের শতাধিক পর্যটক বাঘের দেখা পেয়েছেন।
রোববার রাতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুন্দরবনের দর্শনার্থীরা শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ও রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুটি বাঘকে সাঁতরে নদী পাড় হতে দেখেছেন।
শনিবার দুপুরের পরে কটকা নদীতে একটি বাঘকে নদী সাঁতরে বনের মধ্যে যেতে দেখেন পর্যটকবাহী জাহাজ ক্রাউনের যাত্রীরা। পরেরদিন রোববার সকালে কচিখালী এলাকায়ও একইভাবে আরও একটি বাঘকে সাঁতরে যেতে দেখেন সাম্পান জাহাজে থাকা দর্শনার্থীরা।
এদিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের স্মরণখোলা রেঞ্জের আলী বান্দা এলাকায় দায়িত্বরত বনরক্ষীরা একটি বাঘকে নদী সাঁতরে যেতে দেখেছেন।
সুন্দরবনের বাঘ সাঁতরে নদী পার হচ্ছে এমন বিরল দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেছেন দর্শনার্থী ও বনরক্ষীরা।
এসিএফ শেখ মাহবুব হাসান বলেন, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি এলাকার নদী সাঁতরে পার হতে দেখেন একটি বাঘকে। আর রোববার সকালে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা এলাকায় সাঁতরে নদী পার হতে দেখেন সাম্পান নামের বিলাশবহুল অপর একটি ক্রৃুজারের পর্যটকরা। রোববার দুপুরে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের কাছে আলিবান্দা এলাকায় আরও একটি বাঘকে নদী সাঁতরে পার হতে দেখার দুর্লভ সুযোগ পায় বনরক্ষীরা।
খুব কাছ থেকে দেখা তিনটি বাঘের নদী সাঁতরে পার হবার ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোডের পর তা ভাইরাল হয়েছে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
পর্যটকবাহী জাহাজ ক্রাউনের যাত্রী শিমুল বলেন, শনিবার দুপুরের পরে কচিখালী থেকে একটি বাঘকে সাঁতার কেটে নদীর পার হতে দেখি আমরা। অনেকেই ভিডিও করার জন্য তাড়াহুড়া করেন।
সাম্পানের যাত্রী রাসেল বলেন, রোববার সকালের সাম্পান জাহাজটি কটকা থেকে কচি খালির দিকে যাচ্ছিল। কচিখালী পৌঁছানোর আগ মুহূর্তে একটি বাঘকে নদী সাঁতরে পাড় হতে দেখা যায়। সুন্দরবনের বাঘ দেখে আমরা সবাই খুব উচ্ছ্বসিত।
এর আগে ৮ আগস্ট সকালে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের অফিসের সামনে দেখা মিলেছে একটি বাঘের। বিশাল বাঘটি বনরক্ষীদের ব্যারাকের খুব কাছে চলে আসে। এসময় মোবাইলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন এক বনরক্ষী।