হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুরুষদের জন্য ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় জেলখানা এইচএমপি বারউইন। ওয়েলসের উত্তরে রেক্সহ্যামে একটি শিল্প বিষয়ক এস্টেটের ওপর অবস্থিত এই জেলটি। কিন্তু যৌনতা এই জেলটিকে আষ্টেপৃষ্ঠে জেঁকে ধরেছে।
কয়েদিদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে ১৮ জন নারী স্টাফকে সেখানকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর এ কারণে স্টাফ সংকটে ভুগছে জেলটি। খবর ডেইলি মেইলের।
খবরে বলা হয়, ওই ১৮ জন নারী স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়েছে অথবা পদত্যাগ করেছেন তারা। এর কারণ, তারা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কয়েদিদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন অথবা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
নতুন একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট মনিটরিং বোর্ডের রিপোর্টে ওই কারাগারে স্টাফদের অসংযত আচরণকে বড় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এই জেলে আছেন কমপক্ষে ২১০০ মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ ‘বি’ এবং ‘সি’ ক্যাটাগরির বন্দি।
২০১৭ সালের পর বন্দিদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের ১৮টি ঘটনা সামনে এসেছে।
এর মধ্যে তিনজন নারী প্রহরী আছেন। তারা হলেন জেনিফার গাভান (২৭), আয়শিয়া গান (২৭) এবং এমিলি ওয়াটসন (২৬)। বন্দিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে তাদের সবাইকে গত বছর জেল দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে এমিলি ওয়াটসন সেলের ভিতর তার জেলবন্দি প্রেমিকের সঙ্গে তিনবার সাক্ষাৎ করেছিলেন। এর মধ্যে প্রথম সাক্ষাতেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। অন্য দু’বারও তারা শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন।
ওদিকে আয়শিয়া গান তার প্রেমিক খুররম রাজাকের সঙ্গে কমপক্ষে ১২০০ বার ফোনকলে কথা বলেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি কল ছিল রগরগে ভিডিও কল। তিনি প্রেমিক রাজাকের জন্য আন্ডারওয়্যার নিয়ে যেতেন নিজের অন্তর্বাসের ভিতরে। জনশৃংখলা ভঙ্গের কারণে ২০১৯ সালে ওয়াটসন এবং আয়শিয়া গানকে এক বছরের জেল দেয়া হয়।
২০২০ সালের এপ্রিলে জেনিফার গাভান কয়েদি অ্যালেক্স কোক্সনের সঙ্গে প্রেম শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি কোক্সনকে একটি ফোন দেন। তাতে ছিল নিজের যৌনতা বিষয়ক খুল্লামখুল্লা ভিডিও। গত বছর ডিসেম্বরে অভিযোগ স্বীকার করেন গাভান। ফলে তাকে আট মাসের জেল দেওয়া হয়।