ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী এখন চীনের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১১৯ বার

চীন বিশ্বের বৃহত্তম নৌবহর গড়ে তুলেছে। তার হাতে রয়েছে ৩৪০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ। এতদিন পর্যন্তু চীনা নৌবাহিনীকে সবুজ পানির নৌবাহিনী বলে গণ্য করা হতো যার তৎপরতা প্রধানত দেশটির তীরবর্তী এলাকায় সীমিত ছিল। তবে চীনের জাহাজ নির্মাণের ঘটনায় দেশটির নীল-পানির উচ্চাভিলাষের বিষয় প্রকাশ পেয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে মহাসাগরের উন্মুক্ত নীল পানিতে বৃহৎ আকারের গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, উভচর জাহাজ ও বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা করছে চীন। শনিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সীমানার ওই সব নীল পানিতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর জন্য দরকার পুনঃজ্বালানি ভরা জাহাজ ও মেরামতযানসহ অন্যান্য সুবিধা পূরণের উপযোগী জাহাজ বহর।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রাসিজ (এফডিডি) জানিয়েছে, কম্বোডিয়া ও অন্যান্য দেশে নৌঘাঁটি নির্মাণে চীন সহায়তা করছে।  সুদূর আফ্রিকার আটলান্টিক উপকূলে নৌঘাঁটি ও নৌফাঁড়ি স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর্জেন্টিনা ও কিউবার মতো দেশে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্থাপনাগুলো শক্তিশালী করার মাধ্যমে বেইজিং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর আকাশ ও উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ এবং তাদের যোগাযোগের বিষয় অবহিত হওয়ার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসব প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে চীনের সামরিক লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বর্তমানে আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে চীনের একটি নৌঘাঁটি রয়েছে। জলদস্যুতা রোধ এবং আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক কাজ করার জন্য এ ঘাঁটি পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী এখন চীনের

আপডেট টাইম : ১০:২৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চীন বিশ্বের বৃহত্তম নৌবহর গড়ে তুলেছে। তার হাতে রয়েছে ৩৪০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ। এতদিন পর্যন্তু চীনা নৌবাহিনীকে সবুজ পানির নৌবাহিনী বলে গণ্য করা হতো যার তৎপরতা প্রধানত দেশটির তীরবর্তী এলাকায় সীমিত ছিল। তবে চীনের জাহাজ নির্মাণের ঘটনায় দেশটির নীল-পানির উচ্চাভিলাষের বিষয় প্রকাশ পেয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে মহাসাগরের উন্মুক্ত নীল পানিতে বৃহৎ আকারের গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, উভচর জাহাজ ও বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা করছে চীন। শনিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সীমানার ওই সব নীল পানিতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর জন্য দরকার পুনঃজ্বালানি ভরা জাহাজ ও মেরামতযানসহ অন্যান্য সুবিধা পূরণের উপযোগী জাহাজ বহর।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রাসিজ (এফডিডি) জানিয়েছে, কম্বোডিয়া ও অন্যান্য দেশে নৌঘাঁটি নির্মাণে চীন সহায়তা করছে।  সুদূর আফ্রিকার আটলান্টিক উপকূলে নৌঘাঁটি ও নৌফাঁড়ি স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর্জেন্টিনা ও কিউবার মতো দেশে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্থাপনাগুলো শক্তিশালী করার মাধ্যমে বেইজিং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর আকাশ ও উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ এবং তাদের যোগাযোগের বিষয় অবহিত হওয়ার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসব প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে চীনের সামরিক লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বর্তমানে আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে চীনের একটি নৌঘাঁটি রয়েছে। জলদস্যুতা রোধ এবং আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক কাজ করার জন্য এ ঘাঁটি পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীন।