মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের মেয়ে হতদরিদ্র (৬০ উর্ধ্ব) শিরিন। বিধবা শিরিনের নাম তালিকায় থাকার পরও ঘর পাইনি গুচ্ছগ্রামে।
২০২০-২১ অর্থ বছরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ঘর দেয়া হয়। তালিকায় শিরিনের নাম থাকলেও তার নামে ঘর বরাদ্দ না দিয়ে, ধনী পরিবারের মাঝে ঘর বরাদ্দের অভিযোগ উঠেছে।
ফতেপুর ইউপি সদস্য মোঃ বকুল মিয়া গত সোমবার (২১ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লাছারকান্দা গ্রামের হানজু মিয়া টাকার বিনিময়ে তার স্ত্রী’র নামে ও খালা শাশুড়ী মোমিনার নামে একাধিক ঘর বরাদ্দ নেয়। এছাড়াও তিনি নিজ ক্ষমতা বলে, গুচ্ছ গ্রামের সামনে পাকা রাস্তার পাশে, সরকারি জায়গায় দখল করে আধা পাকা ঘর তৈরি করে মনোহারী ব্যবসা করছে।
হানজু মির স্ত্রী জানান, আমার নামে ও খালার নামে ২ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আমরা খালার ঘরে বসবাস করছি।
হানজু মিয়া বলেন, আমার নামে কোন ঘর বরাদ্দ নেই। আমার স্ত্রী ও খালা শাশুড়ীর নামে ঘর বরাদ্দ আছে। দোকান ঘরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী নিকট হতে অনুমতি নিয়ে দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসা করছি। তবে, তিনি কোনো কাগজ-পত্র দেখাতে পারেনি।
হতদরিদ্র শিরিন বলেন, বিগত ২০২০-২১ অর্থ বছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট আমার সকল কাগজ জমা দেই। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি কোন ঘর পাইনি। গুচ্ছ গ্রামেই অন্য একজনের আশ্রয়ে বসবাস করছি।
কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, এই দুনিয়াতে আমার কেউ নেই। আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কাছে আমার একটাই অনুরোধ। ৬০ এর উপরে বয়স আমার। আমি যেনো এইগুচ্ছ গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে পারি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামিউল হায়দার শফি জানান, যদি কোন ধনী লোক ঘর বরাদ্দ নিয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা গঠন হয়েছে। ৬০ উর্ধ্ব বয়সী শিরিনকে গুচ্ছ গ্রামে ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।