ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

এক সপ্তাহের বন্যায় লণ্ডভণ্ড বান্দরবান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • ৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় রেকর্ড ক্ষতিগ্রস্ত বান্দরবান। টানা আটদিনের ভারিবর্ষণ ও বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে ৩শ’ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা এবং সরকারি অফিসের সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রাংশ। পাহাড়িঢলে লণ্ডভণ্ড রাঙামাটির ২৫ ইউনিয়নও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগাইছড়ি ও বিলাইছড়ি ইউনিয়ন।

১৯৯৭ ও ২০০৯ সালে বান্দরবানে বন্যা হলেও চলতি বছরের বন্যা রেকর্ডের মাত্রা ছাড়িয়েছে। টানা আট দিনের অতিবর্ষণে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে জেলার ৮০ শতাংশ এলাকা।

পানি প্রবেশ করেছিল সরকারি অফিস, বাসভবন, বসতবাড়িতে। তলিয়ে ছিল বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ রাস্তাঘাট। পুরো শহর ছিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।

মাত্র এক সপ্তাহের বন্যা লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায় জনজীবন। ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে ওঠে সড়ক যোগাযোগের। এলজিইডির এক তৃতীয়াংশ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সড়কের খানসামা-বাঘমারা, হলুদিয়া-ভাগ্যকুল, থানচি-বলিপাড়া, রুমা-পলিকাপাড়া, আলীকদম-দোছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি-আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি-তুমব্রু ডিসি, লামা-সুয়ালক, আজিজনগর, ফাইতং, কালাঘাটা-তাড়াছা, রোয়াংছড়ি- লিরাগাও সড়কের বেশকিছু জায়গা ধসে পড়ে।

রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাজেট হলেই সড়ক মেরামতের আশ্বাস এলজিইডির।

বান্দরাবান এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করে রাস্তাগুলো মেরামত করা হবে।”

পাহাড়ি ঢলের পানির ক্ষতচিহ্ন রয়ে গেছে রাঙামাটির ২৫ ইউনিয়নে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বিলাইছড়িতে।

বন্যা ও পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭১টি স্কুল, বাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। পানি নেমে গেলেও প্রতিষ্ঠানগুলো ডুবে আছে কাদায়। ধসে পড়েছে ১২শ’ বাড়িঘরও। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় ৮ হাজারের অধিক লোক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ফসলের মাঠে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাঙামাটি জেলায় এ বছর প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন শস্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

এক সপ্তাহের বন্যায় লণ্ডভণ্ড বান্দরবান

আপডেট টাইম : ০৪:০৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় রেকর্ড ক্ষতিগ্রস্ত বান্দরবান। টানা আটদিনের ভারিবর্ষণ ও বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে ৩শ’ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা এবং সরকারি অফিসের সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রাংশ। পাহাড়িঢলে লণ্ডভণ্ড রাঙামাটির ২৫ ইউনিয়নও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগাইছড়ি ও বিলাইছড়ি ইউনিয়ন।

১৯৯৭ ও ২০০৯ সালে বান্দরবানে বন্যা হলেও চলতি বছরের বন্যা রেকর্ডের মাত্রা ছাড়িয়েছে। টানা আট দিনের অতিবর্ষণে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে জেলার ৮০ শতাংশ এলাকা।

পানি প্রবেশ করেছিল সরকারি অফিস, বাসভবন, বসতবাড়িতে। তলিয়ে ছিল বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ রাস্তাঘাট। পুরো শহর ছিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।

মাত্র এক সপ্তাহের বন্যা লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায় জনজীবন। ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে ওঠে সড়ক যোগাযোগের। এলজিইডির এক তৃতীয়াংশ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সড়কের খানসামা-বাঘমারা, হলুদিয়া-ভাগ্যকুল, থানচি-বলিপাড়া, রুমা-পলিকাপাড়া, আলীকদম-দোছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি-আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি-তুমব্রু ডিসি, লামা-সুয়ালক, আজিজনগর, ফাইতং, কালাঘাটা-তাড়াছা, রোয়াংছড়ি- লিরাগাও সড়কের বেশকিছু জায়গা ধসে পড়ে।

রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বাজেট হলেই সড়ক মেরামতের আশ্বাস এলজিইডির।

বান্দরাবান এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করে রাস্তাগুলো মেরামত করা হবে।”

পাহাড়ি ঢলের পানির ক্ষতচিহ্ন রয়ে গেছে রাঙামাটির ২৫ ইউনিয়নে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বিলাইছড়িতে।

বন্যা ও পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭১টি স্কুল, বাজার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। পানি নেমে গেলেও প্রতিষ্ঠানগুলো ডুবে আছে কাদায়। ধসে পড়েছে ১২শ’ বাড়িঘরও। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় ৮ হাজারের অধিক লোক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ফসলের মাঠে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাঙামাটি জেলায় এ বছর প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন শস্য।