ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ১২৫ বার

সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে, সামরিক মহড়া পরিকল্পনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার সমন্বয়সহ দেশ তিনটির দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা নিশ্চিতের কথা বলা হয়। এদিকে, সম্মেলন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে পূর্ব চীন সাগর ও জাপান সাগরে যৌথ মহড়া চালিয়েছে চীন ও রাশিয়া।

এশিয়ার দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র। সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের ক্যাম্প ডেভিডে প্রথমবারের মতো তিন দেশের মধ্যকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন একটি শক্তিশালী ত্রিদেশীয় জোট গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান।

চুক্তিতে সামরিক মহড়া পরিকল্পনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার সমন্বয়সহ তিন দেশের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতের কথা বলা হয়। এছাড়া ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করারও অঙ্গীকার করা হয়।

এদিকে, সম্মেলনকে ঘিরে সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। সম্মেলন শুরুর আগের দিন পূর্ব চীন সাগর ও জাপান সাগরে যৌথ মহড়া চালিয়েছে দেশ দুটি। এ মহড়াকে ঘিরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপান। ওই এলাকায় রাশিয়ার নজরদারি উড়োজাহাজকে তাড়া করতে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে দেশটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক ভালো থাকলেও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক ভালো নয়। ঐতিহাসিকভাবে সম্পর্কের টানাপোড়েনে থাকা জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দূরত্ব কমানোর ক্ষেত্রেও এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।

ক্যাম্প ডেভিড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিদের বিশ্রাম স্থান হিসেবে পরিচিত। ঐতিহাসিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালের মে মাসে এখানে বৈঠক করেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। এরপর, ১৯৭৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ও মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সবশেষ, ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তৎকালীন ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাককে নিয়ে ক্যাম্প ডেভিডে বৈঠক করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান

আপডেট টাইম : ১০:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে, সামরিক মহড়া পরিকল্পনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার সমন্বয়সহ দেশ তিনটির দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা নিশ্চিতের কথা বলা হয়। এদিকে, সম্মেলন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে পূর্ব চীন সাগর ও জাপান সাগরে যৌথ মহড়া চালিয়েছে চীন ও রাশিয়া।

এশিয়ার দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র। সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের ক্যাম্প ডেভিডে প্রথমবারের মতো তিন দেশের মধ্যকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন একটি শক্তিশালী ত্রিদেশীয় জোট গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান।

চুক্তিতে সামরিক মহড়া পরিকল্পনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার সমন্বয়সহ তিন দেশের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতের কথা বলা হয়। এছাড়া ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করারও অঙ্গীকার করা হয়।

এদিকে, সম্মেলনকে ঘিরে সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। সম্মেলন শুরুর আগের দিন পূর্ব চীন সাগর ও জাপান সাগরে যৌথ মহড়া চালিয়েছে দেশ দুটি। এ মহড়াকে ঘিরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপান। ওই এলাকায় রাশিয়ার নজরদারি উড়োজাহাজকে তাড়া করতে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে দেশটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক ভালো থাকলেও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক ভালো নয়। ঐতিহাসিকভাবে সম্পর্কের টানাপোড়েনে থাকা জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দূরত্ব কমানোর ক্ষেত্রেও এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।

ক্যাম্প ডেভিড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিদের বিশ্রাম স্থান হিসেবে পরিচিত। ঐতিহাসিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালের মে মাসে এখানে বৈঠক করেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। এরপর, ১৯৭৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ও মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সবশেষ, ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তৎকালীন ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাককে নিয়ে ক্যাম্প ডেভিডে বৈঠক করেন।