ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম পাতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩
  • ১১৩ বার

আম পাতা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ওজন কমানো এমনকি বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয় এই পাতা।

পাবমেড সেন্ট্রালে প্রকাশিত গবেষণায় দাবি করা হয়েছে , আমের পাতায় বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যাল আছে। যার মধ্যে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য মেলে। এই পাতায় ম্যাঙ্গিফেরিল যৌগও আছে, যা শরীরে ইনসুলিনের প্রভাব বাড়ায় ও চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গ্লুকোজ অনেক বেড়ে যায়, যা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। তবে গবেষণা বলছে, আম পাতার ব্যবহার খাওয়ার পরও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

একই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চিনি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আম পাতা লিপিড প্রোফাইলের উন্নতি ঘটায়। যার ফলে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পাশাপাশি আপনার স্থূলতাও প্রতিরোধ হয়।

ডায়াবেটিসে আম পাতার ব্যবহার-

প্রথম উপায়- ১০-১৫টি পাতা একটি গ্রাটারে পিষে তারপর ছেঁকে রস বের করে খালি পেটে পান করুন।

দ্বিতীয় উপায়- ১০-১৫টি আম পাতা নিয়ে এক গ্লাস পানিতে সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না পানি অর্ধেক কমে যায়। তারপর ঢেকে সারারাত রেখে দিন ও সকালে খালি পেটে পান করুন।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রতিকার গ্রহণের আগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সাহায্য নিন। তিনি আপনাকে প্রতিকারের সঠিক ডোজ সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ দেবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম পাতা

আপডেট টাইম : ০১:০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

আম পাতা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ওজন কমানো এমনকি বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয় এই পাতা।

পাবমেড সেন্ট্রালে প্রকাশিত গবেষণায় দাবি করা হয়েছে , আমের পাতায় বিভিন্ন ফাইটোকেমিক্যাল আছে। যার মধ্যে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য মেলে। এই পাতায় ম্যাঙ্গিফেরিল যৌগও আছে, যা শরীরে ইনসুলিনের প্রভাব বাড়ায় ও চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তের গ্লুকোজ অনেক বেড়ে যায়, যা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। তবে গবেষণা বলছে, আম পাতার ব্যবহার খাওয়ার পরও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

একই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, চিনি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আম পাতা লিপিড প্রোফাইলের উন্নতি ঘটায়। যার ফলে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পাশাপাশি আপনার স্থূলতাও প্রতিরোধ হয়।

ডায়াবেটিসে আম পাতার ব্যবহার-

প্রথম উপায়- ১০-১৫টি পাতা একটি গ্রাটারে পিষে তারপর ছেঁকে রস বের করে খালি পেটে পান করুন।

দ্বিতীয় উপায়- ১০-১৫টি আম পাতা নিয়ে এক গ্লাস পানিতে সেদ্ধ করুন যতক্ষণ না পানি অর্ধেক কমে যায়। তারপর ঢেকে সারারাত রেখে দিন ও সকালে খালি পেটে পান করুন।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রতিকার গ্রহণের আগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সাহায্য নিন। তিনি আপনাকে প্রতিকারের সঠিক ডোজ সম্পর্কে সঠিক পরামর্শ দেবেন।