ভারতে ৯ মাস কারাভোগের পর ৬ বাংলাদেশি জেলে দেশে ফিরলেন। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ৬ বাংলাদেশি জেলেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় শার্শার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মেজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ছিলেন দু’দেশের বিজিবি-বিএসএফ, কাস্টম, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এরপর ইমিগ্রেশনের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ শনিবার সকালে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়।
ভারতের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজ দেশে ফেরত আসা জেলেরা হলেন পটুয়াখালি জেলার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রহমত উল্লাহ (৪৫) পটুয়াখালী জেলার আব্দুল মানিক এর ছেলে গোলাম রাফি (৩৪) মান্নান এর ছেলে জামাল হোসেন (৫৬) আব্দুল জলিল এর ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩৯) নাজির হোসাইন এর ছেলে হুসাইন (৩৮) আব্দুর রহমান এর ছেলে ইয়াসিন (৩১) ও দিনাজপুর জেলার শফিউদ্দিন কাজীর মেয়ে রাশিদা বেগম (৩৪)।
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশি ৬ জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় কোষ্ট গার্ডের কাছে গত ১০মাস আগে আটক হন। পরে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে চিঠি চালাচালির পর তারা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফেরত আসেন। ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ফেরত আসাদের থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেসরকারি এনজিও সংস্থা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সমন্বয়কারী রেখা বিশ্বাস বলেন, ‘তারা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে সীমানা অতিক্রম করে ভারতের অংশে ঢুকে পড়েন গত ১০মাস আগে। আর সেই সময় ভারতীয় কোষ্ট গার্ডরা তাদের আটক করে নিয়ে গিয়ে আদালতে সপোর্দ করে।’
তিনি বলেন, ‘আদালত তাদের ৯ মাসের কারাদন্ড দিয়ে আলীপুর কারাগারে পাঠায়। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি আইনি সহায়তা দিয়ে তাদেরকে দেশে ফেরত এনেছে। তাদের যশোর নিয়ে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’