জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি সমর্থন করে জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করছি। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে শেরপুরের সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয়, সে জন্য তারা একটা ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাদের এই অধিকার আছে। তারা যদি দেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে কোনো লোক কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে। তাদের এই ভিসানীতি সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক হবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে বা বর্তমান সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে কোনোভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। এটার পরিবর্তন দরকার। তবে পরিবর্তনটা কীভাবে হবে, তা সব দল-মতের সঙ্গে কথা বলে একমত হতে হবে।
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের শাসনপদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশের শতভাগ ক্ষমতা ন্যস্ত রয়েছে। কাজেই মন্ত্রিপরিষদ সম্পূর্ণ পরিবর্তন হলেও খুব একটা গুণগত পরিবর্তন হবে না। বর্তমান শাসনব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী যেখানে থাকবেন, সে রকম অবস্থায় চলতে থাকবে। ’
এই অবস্থায় জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। আমাদের নীতিনির্ধারণী যারা আছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলে, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন আমরা সবাই চাই। তবে নির্বাচন কীভাবে হবে এবং জাতীয় পার্টি কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করছি। আগামী নির্বাচনে কীভাবে নির্বাচন করব সেটা দলগতভাবে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমরা তিন শ আসনেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রহুল আমীন হাওলাদার, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু, বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
পরে শহরের চকবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন জি এম কাদের। এর আগে সার্কিট হাউসে পৌঁছালে তাঁকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।