ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ চলছে। কিয়েভ জানিয়েছে, তীব্র লড়াইয়ে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ডনেস্কের তিনটি গ্রাম মুক্ত হয়েছে। গত রোববারের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, ডনেস্কের ব্লাহোদাতেœ ও নেসকুচনে জয় উদযাপন করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করেছে মস্কো। পাল্টা আক্রমণ নিয়ে দীর্ঘদিন অস্পষ্টতা রেখে আসলেও শনিবার নিজেই খোলাসা করেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু এর আগেই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে যে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে কিয়েভ। অঞ্চলগুলো থেকে ইউক্রেনের অগ্রগতির খবর আসছে। পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর এই প্রথম ডনেস্কের তিনটি গ্রাম মুক্ত হয়েছে। এখন দক্ষিণের আরও ভেতরে ঢুকছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে অঞ্চলটিতে এখনও হামলা প্রতিহতের দাবি করছে মস্কো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউক্রেনীয়পন্থিরা কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, ব্লাহোদাতেœতে গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে পতাকা উত্তোলন করে তারা। উপণ্ডপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার টেলিগ্রাম দাবি করেছেন, মাকারিভকা গ্রামও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে আমাদের সেনারা। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, পাল্টা আক্রমণে প্রথম বিজয় এটি। যুদ্ধের আগে ব্লাহোদাতেœ-তে এক হাজার মানুষ বসবাস করতেন। জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া বন্দরনগরী মারিউপোলে প্রবেশের পথ এটি। বিশ্লেষকদের মতে, যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক মাসে শহরটি পুনরুদ্ধার করতে পারে ইউক্রেন। এদিকে খেরসনের অন্যতম ‘নোভা কাখোভকা’ বাঁধ ধ্বংস করে দেওয়ার পর জাপোরিজ্জিয়া অঞ্চলে আরও একটি বাঁধ উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বাঁধটি নিয়ন্ত্রণ করছে রুশ বাহিনী।
সূত্র: বিবিসি