ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটরবাইকে ৪০ দিনে দশ দেশ পাড়ি দিচ্ছেন চার কন্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০১৬
  • ২৬৬ বার

দশ দিনে দুই রাজ্য, দু’টি দেশ আর আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গুয়াহাটিতে হাজির হলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের চার বীরাঙ্গনা। এখানেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না তাঁরা।

মোটরবাইকে মায়ানমার, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, লাওস, কম্বোডিয়া হয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তাঁদের অভিযান শেষ হবে। সুরাত থেকে সিঙ্গাপুর—এই দুঃসাহসী মোটরসাইকেল অভিযানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ বার্তাই ছড়িয়ে দিচ্ছেন ওঁরা।

চলতি বছর ৩ মে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দেখা করে তাঁর আশীর্বাদ নেন সরিতা মেহতা, খ্যাতি দেশাই, যোগমা দেশাই ও দুরিয়া তাপিয়া। মোদীকে তাঁরা জানান, শিশুকন্যা রক্ষা ও নারী অধিকারের বার্তা নিয়ে তাঁরা মোটরবাইকে গুজরাত থেকে সিঙ্গাপুর যেতে চান। প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ পেয়ে যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়। ৪ জুন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন তাঁদের অভিযানের সূচনা করেন।

সরিতা মনোবিদ ও পর্বতারোহী। দুরিয়া পর্যটন সংস্থা চালান। যোগমা পেশায় স্থপতি। খ্যাতি মানবসম্পদ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। চারজনেরই নেশা মোটরবাইক চালানো। সুরাত থেকে প্রথমে তাঁরা মুম্বই যান। সেখান থেকে বিমানে কাঠমান্ডু। নেপাল ও ভুটান হয়ে উত্তর-পূর্বে ঢোকেন তাঁরা। আজ গুয়াহাটিতে চার কন্যা সাংবাদিকদের জানান, ৪০ দিনে ১০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে, ১০টি দেশ ঘুরে তাঁদের সিঙ্গাপুর পৌঁছনোর কথা। নেপাল থেকে সিঙ্গাপুরের সড়ক সবে খোলা হয়েছে। খ্যাতি, সরিতারা জানান, আনকোরা পথের প্রথম যাত্রী হয়ে তাঁরা দেশ ছাড়িয়ে এশিয়াতেও লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে চান।

খ্যাতি জানান, সবচেয়ে খারাপ ছিল ভুটান থেকে গুয়াহাটি আসার রাস্তা। অনেক অংশে রাস্তাই নেই, নেই পেট্রোল পাম্প। সেই সঙ্গে ছিল বৃষ্টি আর কুয়াশার বাধা। দুরিয়া জানান, নেপালে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী ও ভারতের রাষ্ট্রদূত তাঁদের সংবর্ধনা জানান। নারী সবলীকরণের উপরে সে দেশে ভাষণ দেন তাঁরা। ভুটানে প্রধানমন্ত্রী সেরিং টোপগে তাঁদের স্বাগত জানান। গুয়াহাটি থেকে নাগাল্যান্ড, মণিপুর হয়ে মায়ানমারে ঢুকবেন তাঁরা।

দলনেত্রী সরিতা বলেন, ‘‘এই যাত্রায় একই সঙ্গে কেন্দ্রের অ্যাক্ট-ইস্ট নীতি ও বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও নীতি মিলেমিশে যাবে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বে কেন্দ্রের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আবার এখানকার অনেক উপজাতিতে মাতৃতান্ত্রিক সমাজও দেখা যায়। তাই অভিযানের আদর্শের সঙ্গে এখানকার মিল অনেক।’’

আনন্দবাজার পত্রিকা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মোটরবাইকে ৪০ দিনে দশ দেশ পাড়ি দিচ্ছেন চার কন্যা

আপডেট টাইম : ০১:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০১৬

দশ দিনে দুই রাজ্য, দু’টি দেশ আর আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গুয়াহাটিতে হাজির হলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যের চার বীরাঙ্গনা। এখানেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না তাঁরা।

মোটরবাইকে মায়ানমার, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, লাওস, কম্বোডিয়া হয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তাঁদের অভিযান শেষ হবে। সুরাত থেকে সিঙ্গাপুর—এই দুঃসাহসী মোটরসাইকেল অভিযানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ বার্তাই ছড়িয়ে দিচ্ছেন ওঁরা।

চলতি বছর ৩ মে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে দেখা করে তাঁর আশীর্বাদ নেন সরিতা মেহতা, খ্যাতি দেশাই, যোগমা দেশাই ও দুরিয়া তাপিয়া। মোদীকে তাঁরা জানান, শিশুকন্যা রক্ষা ও নারী অধিকারের বার্তা নিয়ে তাঁরা মোটরবাইকে গুজরাত থেকে সিঙ্গাপুর যেতে চান। প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ পেয়ে যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়। ৪ জুন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন তাঁদের অভিযানের সূচনা করেন।

সরিতা মনোবিদ ও পর্বতারোহী। দুরিয়া পর্যটন সংস্থা চালান। যোগমা পেশায় স্থপতি। খ্যাতি মানবসম্পদ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। চারজনেরই নেশা মোটরবাইক চালানো। সুরাত থেকে প্রথমে তাঁরা মুম্বই যান। সেখান থেকে বিমানে কাঠমান্ডু। নেপাল ও ভুটান হয়ে উত্তর-পূর্বে ঢোকেন তাঁরা। আজ গুয়াহাটিতে চার কন্যা সাংবাদিকদের জানান, ৪০ দিনে ১০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে, ১০টি দেশ ঘুরে তাঁদের সিঙ্গাপুর পৌঁছনোর কথা। নেপাল থেকে সিঙ্গাপুরের সড়ক সবে খোলা হয়েছে। খ্যাতি, সরিতারা জানান, আনকোরা পথের প্রথম যাত্রী হয়ে তাঁরা দেশ ছাড়িয়ে এশিয়াতেও লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বার্তা দিতে চান।

খ্যাতি জানান, সবচেয়ে খারাপ ছিল ভুটান থেকে গুয়াহাটি আসার রাস্তা। অনেক অংশে রাস্তাই নেই, নেই পেট্রোল পাম্প। সেই সঙ্গে ছিল বৃষ্টি আর কুয়াশার বাধা। দুরিয়া জানান, নেপালে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী ও ভারতের রাষ্ট্রদূত তাঁদের সংবর্ধনা জানান। নারী সবলীকরণের উপরে সে দেশে ভাষণ দেন তাঁরা। ভুটানে প্রধানমন্ত্রী সেরিং টোপগে তাঁদের স্বাগত জানান। গুয়াহাটি থেকে নাগাল্যান্ড, মণিপুর হয়ে মায়ানমারে ঢুকবেন তাঁরা।

দলনেত্রী সরিতা বলেন, ‘‘এই যাত্রায় একই সঙ্গে কেন্দ্রের অ্যাক্ট-ইস্ট নীতি ও বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও নীতি মিলেমিশে যাবে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বে কেন্দ্রের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আবার এখানকার অনেক উপজাতিতে মাতৃতান্ত্রিক সমাজও দেখা যায়। তাই অভিযানের আদর্শের সঙ্গে এখানকার মিল অনেক।’’

আনন্দবাজার পত্রিকা