পারদসহ মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় পাকিস্তানে তৈরি ত্বকের রং ফর্সাকারী ১৫ ধরনের ক্রিমসহ ১৯টি স্কিন ক্রিম ও একটি লোশন নিষিদ্ধ করেছে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর মধ্যে ইন্ডিয়ার একটি, চায়নার একটি ও নামবিহীন দুটি পণ্য রয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসটিআই জানিয়েছে, ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সাকারী ক্রিমের মধ্যে ১৮ ধরনের ক্রিম ও একটি লোশনে বিপজ্জনক মাত্রায় মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) এবং দুই ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ (মার্কারি) ও হাইড্রোকুইনোন উভয়ই পাওয়া গেছে। এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে।
এজন্য এসব ক্রিম বিক্রি ও বিতরণ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিষিদ্ধ ক্রিমগুলো হলো— পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকসের (প্রা.) গৌরী ক্রিম, এসজে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ক্রিম, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর হারবাল বিউটি ক্রিম, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর গোল্ড বিউটি ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল কোম্পানির গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, হোয়াইট পার্ল কসমেটিকস ইন্টারন্যাশনালের হোয়াইট পার্ল ক্রিম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ক্রিম, লোয়া ইন্টারন্যাশনালের পাক্স ও নাভিয়া ক্রিম, লাইফ কসমেটিকসের ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট ক্রিম, ফেস লিফট কসমেটিকসের ফেস লিফট ক্রিম, শাহিন কসমেটিকসের ফেস ফ্রেশ ক্রিম ও আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড।
এছাড়া চীনের শুয়াংজ বায়ো টেকনোলজির ডা. রাসেল নাইট ক্রিম ও ভারতের অ্যারোমা কেয়ার কসমেটিকসের ডা. ডেভি স্কিন লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নামবিহীন প্রতিষ্ঠানের ফোর কে প্লাস এবং জাওলি নামের দুটো ক্রিম রয়েছে নিষিদ্ধের তালিকায়।