দিনাজপুরের হিলিতে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমের অজুহাতে তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ব্যবসায়ীদের দাবি অনাবৃষ্টি সেই সঙ্গে প্রচণ্ড রোদ গরমে খেতেই ফসল নষ্ট হচ্ছে।
শনিবার (৩ জুন) হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত তিন দিন আগেও খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন তা আরও ৬০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অর্থাৎ দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিলি বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, তিন দিন আগেও যে কাঁচা মরিচ পাইকারদের কাছ থেকে কেজিতে ৫০ টাকায় কিনে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু হঠাৎ করেই পাইকারি বাজারে দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বেশ কিছু দিন থেকে বৃষ্টি না হওয়া এবং গত কয়েকদিন থেকে প্রচণ্ড রোদ গরমে ক্ষেতেই মরিচ নষ্ট হচ্ছে। এতে সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে। ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ভ্যানচালক এনামুল হক জানান, গত রমজান মাস থেকেই শুকনো মরিচের দাম কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই তরকারি রান্নায় শুকনো মরিচের পরিবর্তে কাঁচা মরিচ ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু আজ বাজারে এসে দেখি ৬০ টাকার কাঁচা মরিচ এক লাফেই ১২০ টাকাতে পৌঁছে গেছে। এমনিতে প্রতিটি নিত্য পণ্যের দাম অনেক বেশি। এভাবে মরিচের দাম বাড়তে থাকলে আমরা খেটে খাওয়া মানুষ কোথায় দাঁড়াব।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দিনাজপুরের সহকারী মমতাজ বেগম বলেন, নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে কেউ যদি অযথা দাম বৃদ্ধি করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।