সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিতসহ সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন অধিদপ্তর থেকে ঈদকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল ও মায়াবী হরিণ, কিং-কোবরা, বানর, গুইসাপসহ প্রায় ১০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভয়চরসহ ৩২০ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বসবাস। সুন্দরী, পশুর, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গোলপাতাসহ ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ।
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নদী ও খালে রয়েছে বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, লবণ পানির প্রজাতির কুমির, রূপালী ইলিশ, চিংড়ি, রূপচাঁদা, কোরালসহ ৪০০ প্রজাতির মাছ এবং বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়া। এসব সম্পদ সুরক্ষায় বনঅধিদপ্তর থেকে ঈদকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিভিন্ন টিম দিন-রাত টহল কার্যক্রম চলমান রাখবে। এ ছাড়া বিশেষ স্মার্ট টিমের সদস্যরাও টহল কার্যক্রম চালাবেন।
তিনি আরো জানান,বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং বাঘ-হরিণের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের সুন্দরবন পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক সুন্দরবনে বেড়াতে যান। বিভিন্ন পর্যটন সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন এবং বন বিভাগের সহায়তায় সুন্দরবনের পর্যটন সেবা আরও উন্নত এবং নিরাপদ করা হয়েছে। এর ফলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন।