ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • ৮৬ বার

চীনের পক্ষ থেকে চীন নীতিতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে সফররত চীনা ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং।

শনিবার (২৭ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে করা বৈঠকে এ কৃতজ্ঞতার কথা জানান তিনি।

আজ উভয় দেশের প্রতিনিধি দল পারস্পরিক স্বার্থ এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকের শেষে ঢাকা কিংবা চীন কোনো পক্ষই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।

পরে বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ওয়েইডং দুই দেশের সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক বিনিময় ও বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, আমাদের মধ্যে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও গভীর হয়েছে। তিনি দশ বছর পর বাংলাদেশ সফর করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে তিনি খুবই মুগ্ধ।

এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চীনের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

উভয়পক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগের মতো মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনকে চীনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। উভয় পক্ষই বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে আরও কয়েকটি প্রকল্পের প্রস্তাব সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিতে সম্মত হয়। চীনে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্ক এবং কোটামুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে চীনে রপ্তানি বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে চীনা পক্ষ বাংলাদেশ থেকে গ্রীষ্মকালীন ফল আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বিশেষ করে গুণগত মান সম্পন্ন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা এবং হিমায়িত খাবার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে শুল্ক এবং কোটামুক্ত সুবিধার মধ্যে শাকসবজি, ওষুধ, কাঁচা চামড়া, পায়ের জিনিসপত্র, নন-নিট পোশাক ইত্যাদির মতো অন্যান্য রপ্তানি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কাজ করে আসছে চীন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন

আপডেট টাইম : ১০:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

চীনের পক্ষ থেকে চীন নীতিতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে সফররত চীনা ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং।

শনিবার (২৭ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে করা বৈঠকে এ কৃতজ্ঞতার কথা জানান তিনি।

আজ উভয় দেশের প্রতিনিধি দল পারস্পরিক স্বার্থ এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকের শেষে ঢাকা কিংবা চীন কোনো পক্ষই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।

পরে বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ওয়েইডং দুই দেশের সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক বিনিময় ও বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, আমাদের মধ্যে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও গভীর হয়েছে। তিনি দশ বছর পর বাংলাদেশ সফর করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে তিনি খুবই মুগ্ধ।

এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চীনের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

উভয়পক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগের মতো মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনকে চীনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। উভয় পক্ষই বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে আরও কয়েকটি প্রকল্পের প্রস্তাব সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে এগিয়ে নিতে সম্মত হয়। চীনে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্ক এবং কোটামুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে চীনে রপ্তানি বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে চীনা পক্ষ বাংলাদেশ থেকে গ্রীষ্মকালীন ফল আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বিশেষ করে গুণগত মান সম্পন্ন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা এবং হিমায়িত খাবার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে শুল্ক এবং কোটামুক্ত সুবিধার মধ্যে শাকসবজি, ওষুধ, কাঁচা চামড়া, পায়ের জিনিসপত্র, নন-নিট পোশাক ইত্যাদির মতো অন্যান্য রপ্তানি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কাজ করে আসছে চীন।