অফিসে একটানা বসে কাজ। অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে চেয়ার ছেড়ে ওঠারও সময় হয় না। এর ফলে শরীরের হাড়, স্নায়ু সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে হাড় ক্ষয়সহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। স্নায়ুর নানা সমস্যা হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। এমনকি দীর্ঘ সময় এভাবে বসে থেকে কাজ করায় হাঁটুতে ক্ষয় হয়।
চিকিৎসকরা বলে থাকেন, এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে হাড় ক্ষয়ের আশঙ্কা বেড়ে যায়। হাড় ভালো রাখতে সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
নরম পানীয়
গরমে স্বস্তি পেতে নানা ধরনের বোতলজাত পানীয়তে চুমুক দেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের পানীয়তে ফসফরিক অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। মাত্রাতিরিক্ত হারে এই ধরনের পানীয় খাওয়ার ফলে ফসফরিক অ্যাসিড শরীরে জমা হতে থাকে। এই অম্ল উপাদানটি হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ।
প্রাণীজ প্রোটিন
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রাণীজ প্রোটিন অপরিহার্য। পুষ্টিবিদেরাও নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম খেতে বলেন। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু হাড় ক্ষয়ের ও কারণ হয়ে উঠতে পারে।
চিনি
রোজের খাদ্যতালিকায় চিনির মাত্রা যত কমাতে পারবেন ততই ভালো। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস কেবল ওবিসিটির সমস্যা ডেকে আনে না, শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যায়। ফলে হাড়ের ক্ষয় হয়।
লবণ
শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। সরাসরি হাড়ের উপর প্রভাব ফেলা ছাড়াও, লবণ কিন্তু শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই বেশি লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করা প্রয়োজন। রান্নাতেও বেশি লবণ দেওয়া উচিত নয়।
কফি
মাথার যন্ত্রণা কমাতে কফির ভূমিকা অনেকেই স্বীকার করেন। কিন্তু এতে থাকা ক্যাফিন হাড়ের সমস্যার কারণ হতে পারে। কম বয়সে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে বেশি কফি না খাওয়াই ভালো।