অভিযোগকারী আসল প্রযোজক নন, আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন শাকিব

ঘটনা ৭ বছর আগের, কিন্তু অভিযোগ তোলা হয়েছে সম্প্রতি। গুরুতর সেই অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংকালীন চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানো এবং এক নারীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির দাবি করা হচ্ছে।

বিস্তর এসব অভিযোগ তুলেছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক দাবি করা রহমত উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি।

যিনি এফডিসির তিন সমিতি বরাবর ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ এর প্রযোজক দাবি করে অভিযোগ এনে বলেছেন, শাকিব খান শুটিং শেষ করলে তার আর কোনো অভিযোগ থাকবে না। অন্যথায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই রহমত উল্লাহ আসল প্রযোজকই নন। তিনি প্রযোজক দাবি করে এফডিসির তিন সমিতিতে যে অভিযোগ এনেছেন তা রীতিমত প্রতারণা! কারণ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭মার্চ প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি থেকে সিনেমাটি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়।

ভারটেক্স মিডিয়ার নামে এই ছবির প্রযোজক মো: জানে আলম। রহমত উল্লাহ যে প্রযোজক এই নাম কোথাও নেই। জানার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রকৃত মালিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স মিডিয়া। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমাটির সিংহভাগ লগ্নি করে। রহমত উল্লাহ নয়, ভারটেক্স মিডিয়া থেকে শাকিবের সঙ্গে চুক্তি ও শিডিউল সংক্রান্ত যাবতীয় আলাপ হয়েছিল।

এমনকি পরিচালক আশিকুর রহমানের সঙ্গেও চুক্তি হয় ভারটেক্স মিডিয়ার। তাহলে এই সিনেমার রহমত উল্লাহ কে? সূত্র জানাচ্ছে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার শুটিংয়ের অ্যারেঞ্জার! ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমায় অস্ট্রেলিয়া অংশে কাজের সুযোগ পেয়ে শাকিবকে নানা কেলেঙ্কারীতে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন। তার উদ্দেশ্যই ছিলো প্রযোজক না হয়েও নানা অনিয়মের দোহাই তুলে প্রযোজক সেজে শাকিবের কাছ থেকে টাকা আত্মসাত।

২০১৮ সালে শাকিব ‘সুপারহিরো’ সিনেমা শুটিং করতে গেলে তার বিরুদ্ধে কোনো এলিগেশন পায়নি সেখানকার পুলিশ। উল্টো অস্ট্রেলিয়ার মাল্টি কালচার মিনিস্টার শাকিবকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আপ্যায়ন করেন। যা শিগগির পরিষ্কার করবে ভারটেক্স কর্তৃপক্ষ এবং শাকিব খান।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে কিছুদিন শুটিংয়ের পর থেমে গেলেও শাকিব খান চেয়েছিলেন সিনেমাটির শুটিং শেষ হোক। আন্তরিকতা রেখে চারবার শিডিউলও দিয়েছিলেন শাকিব। কিন্তু ভারটেক্সের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শুটিং আটকে যায়। তাদের প্রত্যাশা, সব ঝামেলা মিটিয়ে আবার শুটিং করে বাকি কাজ শেষ করবেন। কারণ এটি তাদের স্বপ্নের প্রজেক্ট।

রহমত উল্লাহর এসব ভিত্তিহীন অভিযোগে ভীষণ চটেছেন শাকিব খান। গত চারদিনে বহুবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে শাকিব খান সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা যায়, রহমতুল্লাহর আনা এসব মিথ্যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুব দ্রুতই শাকিব খান আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে শাকিবের পক্ষে জানানে হয়, প্রযোজক নামধারী এই প্রতারক যেনো দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেই কারণে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মিথ্যে অভিযোগ তোলার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত যেন দেশ ছাড়তে না পারে সেই কারণে এই ব্যবস্থা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর