ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষিখাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কৃষিমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির মোট ৬ হাজার ৫২১ জনকে ডিগ্রি এবং ২০১ জনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির অনুশাসন অনুযায়ী সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে কৃষিতে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ড্রোন প্রভৃতির ব্যবহার এবং প্রিসিসন ও ভার্টিকাল এগ্রিকালচারে দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গ্র্যাজুয়েটদের এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষির গুরুত্ব বুঝে কৃষি শিক্ষায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করার জন্য ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়েছিলেন। কিভাবে কৃষিকাজ করে একজন কৃষক আয় করতে পারে, তার জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারে, আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের এগুলো জানতে হবে, এসব সম্ভাবনাকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম, উচ্চশিক্ষা কো-অর্ডিনেট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, সকল অনুষদের ডিন, শিক্ষকবৃন্দ, গ্র্যাজুয়েটসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

স্বাগত বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, কৃষির সম্প্রসারণ, এবং কৃষির সবুজ বিপ্লব আজ গতি পেয়েছে কৃষিবিদদের অবদানে। কৃষিবিদরা এখন দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধান করছে। দেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

সমাবর্তন বক্তা হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সমাবর্তন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য শুধু সম্মানজনক বা পরিতৃপ্তির বিষয়ই নয় বরং অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের। সেই সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতারও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশের মানুষ শোষণহীন, বৈষম্যহীন একটি স্বাধীন জীবনযাপন করবে। আজকের সমাবর্তন গ্র্যাজুয়েটদের মাধ্যমে রাষ্ট্র যেন সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল লাভ করতে পারে- এটাই আমাদের কামনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কৃষিখাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কৃষিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০১:০২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির মোট ৬ হাজার ৫২১ জনকে ডিগ্রি এবং ২০১ জনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির অনুশাসন অনুযায়ী সভাপতির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে কৃষিতে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ড্রোন প্রভৃতির ব্যবহার এবং প্রিসিসন ও ভার্টিকাল এগ্রিকালচারে দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গ্র্যাজুয়েটদের এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষির গুরুত্ব বুঝে কৃষি শিক্ষায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করার জন্য ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়েছিলেন। কিভাবে কৃষিকাজ করে একজন কৃষক আয় করতে পারে, তার জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করতে পারে, আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের এগুলো জানতে হবে, এসব সম্ভাবনাকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম, উচ্চশিক্ষা কো-অর্ডিনেট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, সকল অনুষদের ডিন, শিক্ষকবৃন্দ, গ্র্যাজুয়েটসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

স্বাগত বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, কৃষির সম্প্রসারণ, এবং কৃষির সবুজ বিপ্লব আজ গতি পেয়েছে কৃষিবিদদের অবদানে। কৃষিবিদরা এখন দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধান করছে। দেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

সমাবর্তন বক্তা হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সমাবর্তন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য শুধু সম্মানজনক বা পরিতৃপ্তির বিষয়ই নয় বরং অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের। সেই সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতারও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন এ দেশের মানুষ শোষণহীন, বৈষম্যহীন একটি স্বাধীন জীবনযাপন করবে। আজকের সমাবর্তন গ্র্যাজুয়েটদের মাধ্যমে রাষ্ট্র যেন সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল লাভ করতে পারে- এটাই আমাদের কামনা।