সুন্দর প্রকৃতিতে সুস্থ জীবন

রায়হান সাহেবের অফিস ছুটি। একঘেয়েমি জীবন আর দূষিত শহর থেকে কয়েকটা দিনের জন্য মুক্তি। পরিবারেরও কোনো চিন্তা নেই। সবাই তার সঙ্গে। ছোট্ট ছেলে রাজিব তো মহাখুশি-বান্দরবান, কক্সবাজার আর সেন্টমার্টিনের এই ট্যুরে। রায়হান সাহেবের স্ত্রীও কম খুশি নন। রাজিব বার বার উচ্ছ্বসিত হয়ে জিজ্ঞেস করছে, এটা কি, ওটা কি, হাজার প্রশ্ন তার মনে। রায়হান সাহেবের স্ত্রী তুলিকারও মন বেশ ফুরফুরে। অনেকদিন ধরেই তিনি এমন একটা ট্যুরের কথা বলে আসছিলেন রায়হান সাহেবকে।

বান্দরবানের নীলাচল। সবুজেঘেরা মায়ায় ভরা চারপাশ। উঁচু নিচু আঁকাবাঁকা রাস্তা পেরিয়ে উঠতে হয় ওপরে। পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে দূরের দিকে তাকালে মনে হয় কুয়াশা জমে আছে আকাশ আর সবুজের গায়ে। মিতালী যেন যুগ যুগান্তরের। প্রকৃতির এ অপার সৌন্দর্যে খারাপ মনও ভালো হয়ে যায়।

পাহাড় চূড়ার এপাশ থেকে ওপাশে গিয়ে দাঁড়ালে তুলিকার চোখের ক্ষুধা মিটে যায়। চারদিকে শুধু মুগ্ধতা আর মুগ্ধতা, ভালোলাগা আর ভালোলাগা। তুলিকার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে রাজিব। পাশেই রায়হান সাহেব গুনগুন করে গানের সুর গলায় দোলাচ্ছেন। বাতাসে এলোমেলো চুলগুলো হাত দিয়ে সামনে থেকে পেছনে সরিয়ে দিতে দিতে তুলিকা বললেন,

: তোমাকে আজ খুব খুশি খুশি লাগছে। কপালে চিন্তার ভাঁজ নেই, মুখ গোমড়া নেই, খিটমিটে মেজাজ নেই।

নাক দিয়ে বুক ভরে গভীর শ্বাস নিলেন রায়হান সাহেব। তারপর পাঁচ সেকেন্ড দম ধরে রেখে আস্তে আস্তে গাল দিয়ে ছাড়লেন। বুকের ভেতরটা যেন একেবারে হালকা হয়ে গেল। ভালো হয়ে গেল মন। হাতের ঘড়িটা দেখে তাকালেন তুলিকার দিকে। বললেন,

-তুমি ঠিক ধরেছ। আজ আমার মনের ভেতর কোনো চিন্তার ঝড় নেই। স্নিগ্ধ বাতাস আর প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে আমার মনটা খুবই ভালো। কংক্রিটের জঙ্গলে আমরা বাস করি। সেখানে শব্দদূষণ, বায়দূষণ আর অফিসের কাজ-কর্মে, মানুষের ব্যবহারে আমাদের মেজাজ অধিকাংশ সময় খারাপ থাকে। খিটমিটে হয়ে যায়। ইচ্ছা করে নয়, অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমরা একে অপরের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি। আমাদের রাজিব আজ যে শ্বাসকষ্টে ভুগছে এটা কিন্তু আমাদের পারিপার্শ্বিকতার কারণে, বায়ুদূষণের কারণে। এ যে আজো পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে- রাজধানী শহর নাকি দূষণের শহরে পরিণত হয়েছে। এই পরিবেশ ভালো না থাকলে আমি-তুমি, আমাদের সন্তানরা কেউই ভালো থাকবে না। কারও মনও ভালো থাকবে না। পরিবেশ ও প্রকৃতির সুস্থতা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তুলিকা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন রায়হান সাহেবের কথা। মাথা দুলিয়ে মুচকি হেসে তিনি বললেন,

-তুমি কোনো কলেজের লেকচারার হলে পারতে। খুব গুছিয়ে আর সুন্দর করে কথা বলো তুমি।

-এটা তো আর নতুন নয়।

-কিন্তু বাসার তুমি আর আজকের এই তুমি অনেকটা আলাদা। অন্য মানুষ। বলতে পার, রাত আর দিন।

-প্রকৃতির ভালো-মন্দের ওপরই মানুষের ভালো থাকা মন্দ থাকা অনেকাংশে নির্ভর করে।

রায়হান সাহেব, তুলিকা আর ছোট্ট ছেলে রাজিবকে দিয়ে আমি তুলে ধরলাম মানুষের

প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়ার বাস্তবচিত্রটা। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে- আগেকার দিনে রাজ-জমিদারদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে, মন খারাপ থাকলে কিংবা কোনো অসুখ খুঁজে না পেলে ডাক্তার হাওয়া বদলের পরামর্শ দিতেন, কোথাও বেড়াতে যেতে বলতেন। ডাক্তার বুঝতে পারতেন, একঘেয়েমি জীবন থেকে কোনো মন ভালো করা সৌন্দর্যের কাছে গেলে তিনি এমনিতেই ভালো হয়ে যাবেন।

আপনি নীল পানির অথৈ সাগরের কাছে যান, হু হু বাতাসের সমুদ্র সৈকতে দাঁড়ান, ছুটে আসা পানির গর্জন শুনুন, পা ভেজান সাগরের পানিতে, দূরের দিকে তাকিয়ে দেখুন সূর্যাস্ত, আকাশ আর সাগরের মিলন দেখুন…, ঢেউয়ে দোল খাওয়া মাছ ধরা নৌকা আর জাহাজ দেখুন, আপনি গান না জানলেও আপনার গলায় নিজের অজান্তে গান চলে আসবে। আপনি আপন মনে গান গাইতে শুরু করবেন। মনটা ভরে যাবে ভালোলাগার এক সুন্দর অনুভূতিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হবে আপনাকে। এই হলো প্রকৃতির মন ভালো করার আশ্চর্য ক্ষমতা।

নোংরা জামা-প্যান্ট পরে আপনি বাইরে বের হন। আপনার মনটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগবে। একজনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আপনার মধ্যে সংকোচ এসে ভিড় করবে। আপনার কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য অন্যরা চেষ্টা করবে। আপনার গায়ের দুর্গন্ধে আপনি নিজেই বিরক্ত হবেন। ঠিক এর বিপরীতটা করুন। আপনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পড়ুন, গায়ে পারফিউম লাগান, দেখবেন আপনার ভেতর একটা উৎফুল্লতা কাজ করছে, উচ্ছ্বাস কাজ করছে, আনন্দ কাজ করছে। আপনি অন্যের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কনফিডেন্স চলে আসবে। প্রকৃতি ও পরিবেশও ঠিক এমন। আপনি বুড়িগঙ্গার কাছে গেলে এ ঐতিহ্যবাহী নদীটাকে নদী বলে মনে হবে না। মনে হবে বিষাক্ত বর্জ্যরে ভাগাড়। রাজধানীসহ আশপাশের টনকে টন বর্জ্য মিশছে নদীর পানির সঙ্গে। দখল হয়ে যাচ্ছে অনেক জায়গা। নদীর দু’পাশের কল-কারখানা থেকে নদীর পানির সঙ্গে মিশছে দূষিত পানি। জলজপ্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গা থেকে। দুর্গন্ধে নদীর কাছে দাঁড়ালে পেটে মোচড় দিয়ে বমি আসবে। এই নদীর কাছে গেলে কি আপনার মন ভালো হবে? হবে না। মনটা আরও বিষিয়ে যাবে, তেতো হয়ে যাবে। ভালো মনটাও খারাপ হয়ে যাবে। আপনি যদি বিকাল বেলা মধুমতির স্বচ্ছ পানিতে পাল ওড়ানো নৌকায় বসে থাকেন; তাহলে আপনার মেঘে ঢাকা মনটাও ভালো হয়ে যাবে। দু’পাড়ের সবুজ প্রকৃতি, নদীর কূলকূল ঢেউয়ের শব্দ, মানুষের দৌড়ঝাপ করে গোসল করা, জেলেদের মাছ ধরা, ঘাটে যাত্রী পারাপার, মাঝির রঙিন পাল আর ভাটিয়ালী গান আপনাকে ওই সময়ের জন্য অন্য জগতে নিয়ে যাবে। আপনি তখন অন্য মানুষ হয়ে যাবেন। সুন্দর প্রকৃতির এটাই অসাধারণ গুণ।

আপনি ঝরনার কাছে যান। কান পেতে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনার গান শুনুন। আপনারও গলাতে গুনগুন গান চলে আসবে। ঝরনার ছুটে চলার দৃশ্য আপনাকে মোহিত করবে। ওপর থেকে পরা ঝরনার মিষ্টি পানিতে ভিজতে ইচ্ছা করবে। অসুবিধা কি; ভিজুন। দু’হাত দুদিকে দিয়ে ঝরনার পানিতে গোসল করুন। প্রকৃতির কাছে গিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলুন। মিশে যান প্রকৃতির সঙ্গে। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে আপনি নিরোগ থাকবেন, ভালো থাকবেন।

মানুষের কাজ করার জন্য চাই উদ্যমতা, শক্তি। প্রকৃতি থেকে আমরা অবলীলায় শক্তি, সাহস, এগিয়ে চলার দৃঢ়তা গ্রহণ করতে পারি (যদিও আমরা প্রত্যেকে প্রকৃতির শক্তি নিয়েই চলছি)। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে পরিবার নিয়ে আশপাশের কোনো ভালো জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারি। আমরা গ্রামে চলে যেতে পারি। খালি পায়ে ধুলো ওড়া মাটির পথে হাঁটতে পারি। কাঁদায় ভরা পথে হাঁটতে পারি। বৃষ্টির পানিতে ভিজতে পারি। নদী বা পুকুরে সাঁতার কাটতে পারি। সবুজ ফসলের আল ধরে হাঁটতে পারি। গাছ-গাছালির ছায়ায় দাঁড়াতে পারি। রোদের তাপ শরীরে লাগাতে পারি। পাখির মিষ্টি মধুর গান শুনতে পারি। বিল কিংবা নদীতে নৌকা বেয়ে চলে যেতে পারি অনেক অনেক দূরে…। আমরা প্রকৃতির সন্তান। সকাল বেলা সূর্যোদয় দেখতে পারি। মায়ায় ভরা নীল আকাশ দেখতে পারি। সাদা মেঘের দল ভেলার মতো ভেসে যাওয়া দেখতে পারি। আবীর ছড়ানো সূর্যাস্ত দেখতে পারি। পাখির বাসায় ফেরা দেখতে পারি। পূর্ণিমার মায়াবী মাধবী জ্যোৎস্না রাত পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে উপভোগ করতে পারি। রাতেরও আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে সেটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করতে পারি। এখানে বয়সটা বিষয় নয়, মনটাই আসল। প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে হবে। নিজেকে প্রকৃতির অংশ ছাড়া কখনো বিচ্ছিন্ন ভাবা যাবে না। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কাজে উৎসাহ পাওয়া যাবে। প্রতিদিন রাতে মাল্টিভিটামিন প্রয়োজন হবে না। ব্যথা-বিষে গরম সেঁক নেওয়া লাগবে না। দরকার পড়বে না মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার ওষুধ। প্রয়োজন হবে না ক্যালসিয়াম কিংবা নিউরোর কোনো ওষুধেরও।

আমাদের মন ও শরীর ভালো রাখতে প্রকৃতি ও পরিবেশকে সুন্দর রাখা প্রয়োজন। আমরা প্রকৃতির সান্নিধ্যে গিয়ে সুখ খুঁজি, শান্তি খুঁজি। কিন্তু এই সুখ-শান্তির ঠিকানা আস্তে আস্তে আমাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিবেশ প্রতিবেশ যতটা ভালো থাকবে আমরাও ততটা ভালো থাকব। কিন্তু আমাদের ভেতরই কতিপয় অসাধু মানুষ আজ নদীকে গলাটিপে হত্যা করছে, নির্বিচারে বন উজাড় করছে, বন্যপ্রাণী শিকার করছে। এদিকে বায়ুদূষণ বাড়ছে, শব্দদূষণ বাড়ছে। আমরা আইন থাকলেও মানছি না। আমরা অযথা হর্ন বাজাচ্ছি। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, নীরব এলাকা ‘হর্ন বাজানো নিষেধ’ লেখা থাকলে সেটা গুরুত্ব দিচ্ছি না। ফলে শব্দদূষণ বেড়েই চলেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে আমাদের নানা ধরনের কঠিন শারীরিক ও মানসিক জটিলতা।

বায়ুদূষণের কবলে পড়ে আমরা হারাচ্ছি আমাদের অমূল্য সম্পদ জীবনকাল। নিঃশ্বাসে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের বদলে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত বাতাস গ্রহণ করছি। গাড়ির কালো ধোঁয়া, বৈধ-অবৈধ ইটভাটার কালো ধোঁয়া, দালান-কোঠা ভাঙা সূক্ষ্ম ধুলোবালি, শীতের দিনের ধুলোবালি আমাদের বাতাসকে দূষিত করছে। নিঃশ্বাসের সঙ্গে বুকের ভেতর এই বিষ টেনে নিয়ে আমাদের জীবন ও আগামী প্রজন্মকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছি।

বটবৃক্ষের ছায়াকে মায়ের কোলের মায়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। এই বৃক্ষের ছায়ার মায়া আস্তে আস্তে আমাদের মাথার ওপর থেকে সরে যাচ্ছে। বৃক্ষ নিধন করে আমরা দেশটাকে দিন দিন মরুভূমির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বৃক্ষ আমাদের বাঁচিয়ে রাখছে অক্সিজেন দিয়ে আর কার্বন ডাই অক্সসাইড শোষণ করে। একবার ভেবে দেখুন, আমাদের শ্বাস নিতে যে অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকি তা যদি অর্থ দিয়ে কিনে ব্যবহার করতে হতো তাহলে বেঁচে থাকার সম্ভবনা কতটুকু থাকত। ক’জন মানুষের সামর্থ্য আছে অক্সিজেন কিনে ব্যবহার করে বেঁচে থাকার!

সভ্যতার ক্রমবিকাশে প্রকৃতি ও পরিবেশ চরমভাবে অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। জনসংখ্যা বাড়ার কারণে তাদের ঘরবাড়ির প্রয়োজন পড়ছে, আবাদি জমির প্রয়োজন বাড়ছে। নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, রাস্তা, হাসপাতাল, কল-কারখানা, বাজার স্থাপনের জন্য যেমন আবাদি জমি হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি বনের ওপর চাপ বাড়ছে। অনেক জায়গাতেই বন উজাড় করে আবাদি জমি বাড়ানো হচ্ছে, ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

আমাদের কারণেই আমরা বৈরী জলবায়ুর মোকাবিলা করছি। ঝড় হচ্ছে, জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে, খরা হচ্ছে, অকাল বন্যা হচ্ছে। তছনছ করে দিচ্ছে আমাদের সাজানো গোছানো স্বপ্নের সংসার। দিনে দিনে পৃথিবীর তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। এতে বরফ গলছে, উপকূলীয় এলাকাগুলো পানি নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আমরাই সুখের অন্বেষণ করতে গিয়ে অসুখকে ঘরে ডেকে আনছি। সুখ-শান্তি বিসর্জন দিচ্ছি নিজেদের অজান্তে।

ওয়ার্ডসওয়ার্থ বলেছেন, ‘প্রকৃতি কখনো হৃদয় আর ভালোবাসার সঙ্গে ধোঁকা দিতে পারে না।’ কিন্তু আমরা মানুষ হয়ে স্বার্থের কারণে প্রকৃতিকে ধোঁকা দিতে পারি। নিঃস্বার্থভাবে প্রকৃতি যখন আমাদের শুধু দিয়েই যাচ্ছে তখন আমরা স্বার্থের কারণে প্রকৃতিকে হত্যা করতে পিছুপা হচ্ছি না। প্রকৃতি ধ্বংসের এই বৈরী নীতিতে ‘রিভেঞ্জ অব ন্যাচার’-এ আমরাই একদিন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।

ওয়ার্ডসওয়ার্থ আরও বলেছেন, ‘প্রকৃতির কাছে গেলে মন ভালো হয়ে যায়, প্রকৃতি সুন্দর হলে মনও সুন্দর হয়ে যায়।’ তাই সুন্দর মন নিয়ে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হবে। প্রকৃতির ভাষা অন্তর দিয়ে বুঝতে হবে। প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে হবে। প্রকৃতি সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রকৃতিরও প্রাণ আছে। প্রকৃতি ভালো থাকলে আমাদের মানসিক অবস্থাও ভালো থাকবে, শরীর ভালো থাকবে, আগামী প্রজন্ম ভালো থাকবে, আর সুন্দর প্রকৃতিতেই গড়ে উঠবে সুস্থ জীবন।

মুকিত মজুমদার বাবু, চেয়ারম্যান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর