ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

মামলা খারিজ; জাপানি মায়ের কাছে থাকবে ২ শিশু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাপানি মায়ের কাছেই থাকবে দুই শিশু–জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা। একইসঙ্গে মেয়েদের নিয়ে জাপানেও যেতে পারবেন তাদের মা। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান ওই দুই শিশুর বাবার করা মামলাটি খারিজ করে এ রায় দেন।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান রায় ঘোষণার ২৯ জানুয়ারি ধার্য করেন।

গত ১৫ জানুয়ারি তাদের বক্তব্য শুনে তা রেকর্ড করেন একই আদালত। পরদিন ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে জাপানি দম্পতির বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা জাপান ফিরে যাওয়ার আকুতি জানায়।

জেসমিন মালিকা বলে, ‘আমি জাপান যেতে চাই, আমাকে বলা হয়েছিল যে আমরা আমেরিকায় যাব। কিন্তু আমরা আমেরিকায় যেতে পারব না। দুই বছর থেকে আমরা এখানে আছি। আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। আমার মায়ের বিষয়ে আমাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। আমি নির্ভরযোগ্য রিসার্চ করেছি। আমি সব জানতে পেরেছি। আমার স্কুল জাপানে, আমার সংস্কৃতি জাপানে, আমার বন্ধুবান্ধব জাপানে এবং আমার সবকিছু জাপানে। আমি এখানে কীভাবে থাকব? আমি সেখানে যেতে চাই।’

এ সময় জেসমিন মালিকার সঙ্গে তার জাপানি মা এরিকো নাকানো ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাপান থেকে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন তাদের বাবা ইমরান শরীফ। মামলায় বাদীপক্ষের তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আর বিবাদীপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাপানি মা এরিকো নাকানো। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আজ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।

জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটি মেয়েসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এবিসির বিশ্লেষণ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে যেভাবে ফাটল

মামলা খারিজ; জাপানি মায়ের কাছে থাকবে ২ শিশু

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাপানি মায়ের কাছেই থাকবে দুই শিশু–জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা। একইসঙ্গে মেয়েদের নিয়ে জাপানেও যেতে পারবেন তাদের মা। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান ওই দুই শিশুর বাবার করা মামলাটি খারিজ করে এ রায় দেন।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান রায় ঘোষণার ২৯ জানুয়ারি ধার্য করেন।

গত ১৫ জানুয়ারি তাদের বক্তব্য শুনে তা রেকর্ড করেন একই আদালত। পরদিন ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে জাপানি দম্পতির বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা জাপান ফিরে যাওয়ার আকুতি জানায়।

জেসমিন মালিকা বলে, ‘আমি জাপান যেতে চাই, আমাকে বলা হয়েছিল যে আমরা আমেরিকায় যাব। কিন্তু আমরা আমেরিকায় যেতে পারব না। দুই বছর থেকে আমরা এখানে আছি। আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। আমার মায়ের বিষয়ে আমাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল। আমি নির্ভরযোগ্য রিসার্চ করেছি। আমি সব জানতে পেরেছি। আমার স্কুল জাপানে, আমার সংস্কৃতি জাপানে, আমার বন্ধুবান্ধব জাপানে এবং আমার সবকিছু জাপানে। আমি এখানে কীভাবে থাকব? আমি সেখানে যেতে চাই।’

এ সময় জেসমিন মালিকার সঙ্গে তার জাপানি মা এরিকো নাকানো ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাপান থেকে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন তাদের বাবা ইমরান শরীফ। মামলায় বাদীপক্ষের তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আর বিবাদীপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাপানি মা এরিকো নাকানো। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আজ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।

জাপানের নাগরিক এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরানের ২০০৮ সালের ১১ জুলাই বিয়ে হয়। তাঁদের তিনটি মেয়েসন্তান আছে। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি এরিকোর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ইমরান। এরপর ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে (বড় ও মেজ) নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। ছোট মেয়ে জাপানে আছে।