ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিতু হত্যা : আটক নসর শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০১৬
  • ৫৮৩ বার

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক শিবির ক্যাডার আবু নসর ওরফে গুন্নু (৪০) সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে শিবির ক্যাডার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাশ ভট্টাচার্য্য।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকা থেকে মিতু হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার আবু নসর ওরফে গুন্নুকে আটক করা হয়। গুন্নু হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফতেয়াবাদ গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র।

এতে আরো বলা হয়, গুন্নু দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করলেও পাঁচ বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এর পর ফতেয়াবাদ এলাকার একটি মাজারে খাদেম হিসেবে যোগ দেন। গুন্নু শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এক সময় তিনি অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

গুন্নু মিতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন কি-না এ প্রশ্নে অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাশ ভট্টচার্য জানান, এই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুন্নুকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মিতু হত্যাকাণ্ডটি পুরোপুরি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত করা হয়েছে। মিতু কখন বাসা থেকে বের হবেন, কাজ শেষে যারা মোটরসাইকেলে করে পালাবে তাদের ‘ব্যাক আপ’ কিভাবে থাকবে এসব বিষয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলেধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে নগরীর জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুর্বৃত্তরা যখন মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করছিল, তখন জিইসি মোড়ের কিছুটা অদূরে দাঁড়িয়ে ছিল একটি কালো মাইক্রোবাস। মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যাওয়ার ১০ সেকেন্ডের মাথায় ঘটনাস্থলে আসে মাইক্রোবাসটি। পাঁচ সেকেন্ডের মতো ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মাইক্রোবাসটি একই পথে স্থান ত্যাগ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মিতু হত্যা : আটক নসর শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার

আপডেট টাইম : ১১:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০১৬

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক শিবির ক্যাডার আবু নসর ওরফে গুন্নু (৪০) সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে শিবির ক্যাডার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাশ ভট্টাচার্য্য।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ এলাকা থেকে মিতু হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার আবু নসর ওরফে গুন্নুকে আটক করা হয়। গুন্নু হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফতেয়াবাদ গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেনের পুত্র।

এতে আরো বলা হয়, গুন্নু দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করলেও পাঁচ বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এর পর ফতেয়াবাদ এলাকার একটি মাজারে খাদেম হিসেবে যোগ দেন। গুন্নু শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এক সময় তিনি অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

গুন্নু মিতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন কি-না এ প্রশ্নে অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাশ ভট্টচার্য জানান, এই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুন্নুকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মিতু হত্যাকাণ্ডটি পুরোপুরি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত করা হয়েছে। মিতু কখন বাসা থেকে বের হবেন, কাজ শেষে যারা মোটরসাইকেলে করে পালাবে তাদের ‘ব্যাক আপ’ কিভাবে থাকবে এসব বিষয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলেধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে নগরীর জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুর্বৃত্তরা যখন মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করছিল, তখন জিইসি মোড়ের কিছুটা অদূরে দাঁড়িয়ে ছিল একটি কালো মাইক্রোবাস। মিতুর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যাওয়ার ১০ সেকেন্ডের মাথায় ঘটনাস্থলে আসে মাইক্রোবাসটি। পাঁচ সেকেন্ডের মতো ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মাইক্রোবাসটি একই পথে স্থান ত্যাগ করে।