মাছের দাম বেড়েছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের মধ্যে কিছুটা স্থির ছিল মাছের দাম। তবে গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে এটির দাম।

মাছ কম ধরা পড়া ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহে চাষ ও দেশি জাতের মাছের দাম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি রসুনের দামও ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।

অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আগের মতোই রয়েছে।

চাষকৃত কৈ, রুই, শিং মাছ, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও অন্যান্য জাতের মাছের দাম প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে।

আকার ও গুণগত মানের ভিত্তিতে চাষ করা রুই ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, কাতলা ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা ও পাঙ্গাস ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নদীর রুই, কাতলা, ইলিশ, পাবদা, চিংড়ি, শৈল, টেংরা ও বেলের দামও বেড়েছে।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর ও নিউমার্কেটে দেশি রুই (ওজনে আড়াই কেজির বেশি) বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি এবং কাতলা ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকায়।

এদিকে দেশি রসুনের দাম কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানি করা এক কেজি ১৩০-১৫০ টাকায় দাম বেড়েছে ৪০ টাকা।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, চাষ করা পাঙ্গাস, কৈ, তেলাপিয়া ও খামারের ডিম দরিদ্রদের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।

তিনি বলেন, চাল, গমের আটা, রান্নার তেল, চিনি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ইতিমধ্যেই গত দেড় বছরে রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ ও অন্যান্য প্রোটিন পণ্যের দাম বৃদ্ধি দরিদ্রদের আরও ক্ষতিগ্রস্থ করবে।

তিনি কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি বাজার কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর