হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপির গঠনতন্ত্রে সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতা হওয়ার বিধান না থাকলেও দলটির মূল পদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি কেন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্রে সাজাপ্রাপ্তদের নেতা হওয়ার বিধান না থাকলেও সাজাপ্রাপ্ত আসামিকেই দলটির মূল পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে।’
সোমবার ৫৯ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান একথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
বিএনপির অপপ্রচার থেকে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার চালানোই বিএনপির চরিত্র।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, গ্রামের মানুষও যেন শহরের সুযোগ-সুবিধা পায় সেজন্য তার সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। বলেন, ‘দেশের সব মানুষ যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায় আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’
‘গ্রামের মানুষ যাতে শহরের সুযোগ-সুবিধা পায় সেজন্য সরকার নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করে না।’
এর আগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী। আর জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গত ২৩ আগস্ট তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর ৫৭টির ভোট হয় ইভিএমে।
নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন নারী সদস্য ও ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। সব কয়টি পদে একক প্রার্থী থাকায় ভোলা ও ফেনী জেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। আর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদের ভোট স্থগিত হয়।