তামাকের ব্যবহার রোধে সরকারের পাশাপাশি দেশের সিভিল সমাজ, গণমাধ্যম ও ধূমপান বিরোধী সংগঠনগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০১৬ উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। মঙ্গলবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে এ দিবস পালিত হবে।
তামাক ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। উন্নয়নশীল বিশ্বে তামাক সেবন ও ধূমপান প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। সেইসঙ্গে মরণব্যাধি ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগেরও বিস্তার ঘটছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে তামাক ও ধূমপানের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৬ মিলিয়ন লোক মৃত্যুবরণ করছে, যা পরিবার সমাজ ও জাতিসমূহের জন্য বিশাল ক্ষতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ধূমপানসহ তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার হ্রাসের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশ্ববাসী আজ সোচ্চার। তরুণ সমাজকে তামাক ও ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো জনসম্মুখে ব্যাপক প্রচার, তামাক উৎপাদন হ্রাস, তামাকজাত পণ্যে উচ্চহারে করারোপ, ধূমপানের মনোলোভা ও রোমাঞ্চকর বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধকরণ, জনসম্মুখে ধূমপান নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।
তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি সিগারেটের সুদৃশ্য প্যাকেট ও মোড়ক উঠতি ও তরুণ সমাজকে ধূমপানে উৎসাহিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’ এর প্রতিপাদ্য ‘সাদামাটা মোড়ক-তামাক নিয়ন্ত্রণে আগামী দিন’ যথার্থ হয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি তামাক পণ্যের মোড়কই, তামাকের একটি চলমান বিজ্ঞাপন। তামাকপণ্যের বাহারি রঙিন মোড়ক, তামাক পণ্যকে আরো আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করে তোলে। তামাকের প্রতি বিজ্ঞাপনের এই আকর্ষণ কমাতে পৃথিবীর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও সাদামাটা মোড়কের প্রচলন জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার হ্রাসসহ ধূমপান রোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে। তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার প্রতিরোধে আইনের পাশাপাশি জনসচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।