প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ‘তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব কাজ শেষ হয়েছে। ২০১১ সালেই এ চুক্তির বিষয়টি ভারতের সাথে মীমাংসা হয়ে গেছে। চুক্তিতে নতুন কিছু যুক্ত বা বাদ দেয়া হবে না। আজ হোক কাল হোক এই চুক্তিও হবে। এখন এ চুক্তি স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন করা বাংলাদেশ এবং ভারতের কোনো সমস্যা নয়—এটি দিল্লি-কলকাতা সমস্যা। তাদের সমস্যা নিরসন হলেই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে।’
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতি আয়োজিত ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: আঞ্চলিক উন্নতি ও সৌহার্দ্য’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
গওহর রিজভী বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে এখন সীমান্তে হত্যা অনেক কমে এসেছে। তবে বাংলাদেশ একে শূন্যে নামাতে চায়। সব সময় বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকে না। চোরাচালাকারীরা মধ্যে বিরোধের জের ধরেও হত্যাকাণ্ড হয়। গরু চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ কিংবা বন্ধ করতে না পারলে সীমান্ত হত্যাও পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই সফরে ভারতের বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হবে যাতে আরও চার থেকে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে। ভারতের বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায় সেই বিষয় নিয়ে এবার জোর দেয়া হবে। ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো ধাপে ধাপে নিরসন করা হবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন মোল্যার সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার হারুন উর রশীদ, মূল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অধ্যাপক আতিউর রহমান।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সী ফয়জুল হক প্রমুখ।