গৌতম কুমার এদবরঃ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো মোঃ দেলোয়ার হোসেনের। গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা উত্তরা ৯নং সেক্টরে ২নং রাস্তার মুখে বিকেল ৭টার এর কিছু আগে এ দুর্ঘটনা ঘটে । দুর্ঘটনায় গাড়ীটিকে উত্তরা পশ্চিম থানা আটক করেছে। গাড়ীর নম্বর ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-২১৫২, ড্রাইভার মোঃ হাসান(৪৫), পিতা- আব্দুল মান্নান,মাতা-বিবি অংকুরেরনেছা,সাং-দত্তভান্ডার,থানা নাঙ্গলকোর্ট,জেলা কুমিল্লা।ড্রাইভার এখনও আটক হয়নি। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। মামলা নং-১৬, তারিখ-০৭/০৯/২০২২, ধারা (১০৫) ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন মোতাবেক। মামলাদ বাদী নিহতের স্ত্রী মাহাফুজা আক্তার। মামলার বিবরন থেকে জানা যায়-মৃতের স্ত্রী মাহাফুজকে একটি ফোন হইতে
সন্ধ্যা ৭ টার মাহাফুজার মোবাইল নম্বরে জৈনিক ব্যক্তি ফোন করে জানায় দেলোয়ার হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে, আপনি তার কি হন? মাহাফুজা জৈনিক ব্যক্তি কে জানায় সে তাহার স্ত্রী, শুনে জৈনিক ব্যাক্তি তাকে দ্রুত উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলে। মাহাফুজা উক্ত খবর পাইয়া তার ননদ নুরজাহান রহমানকে সাথে নিয়া আনুমানিক ৭.৩০উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে উপস্থিত হইয়া তার স্বামীকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত অবস্থায় দেখিতে স্বামীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তার স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিওরোসায়েন্স হাসপাতালে রেফার করিলে মাহাফুজা পরিবারের লোকজন নিয়ে স্বামীকে উক্ত হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে স্বামীকে মৃত ঘোষনা করে।
মাহাফুজা পরবর্তীতে খোজ নিয়ে জানতে পারে তার স্বামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুগী (আত্মীয়) কে দেখার পর ৯নং সেক্টরের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৯নং সেক্টরস্থ ২নং রোডে পৌছালে ঢাকা মেট্রো গ-৪৩-২১৫২ প্রাইভেট কার ঢাকা সোনারগাঁও জনপথ রোড হইতে ৯নং সেক্টরস্থ ২নং রোডে বেপরোয়া গতিতে গাড় চালিয় আমার স্বামীকে স্বজোরে আঘাত করায় তার তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এ সময় ড্রাইভার দ্রুত গতিতে গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমার স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে গিয়ে মৃতের সুরতহাল রির্পোট প্রতিবেদনের জন্য মর্ঘে প্রেরণ করে। পুলিশ গাড়ীটিকে ঐদিনই গাড়ীটিআটক করে। গাড়ীর ড্রাইভার কে এবং মালিক কে এখন আটক করা হয়নি। জানা যায় প্রাইভেট কারটি একটি কুড়িয়ার সার্ভিস কোম্পানীর। মৃতের স্ত্র ও স্বজনদের দাবী দ্রুত ড্রাইভার ও গাড়ীর মালিকে দৃষ্টান্তমূল্যক শাস্তি প্রদান করা হোক, যেন সরক দুর্ঘটনায় আর কোন তরতাজা প্রান বিসর্জন দিতে না হয়।