ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশসহ ৮ জন গ্রেফতারের পর ডাকাতির ৫১ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৩০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কেরানীগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামানসহ ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫১ ভরি ৬ রতি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রয়ের ১৫ লাখ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২ আগস্ট মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার গোবিন্দল জামটি বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুণ ঘোষ ৮ পিস তেজাবী স্বর্ণ (গলানো স্বর্ণ) ওজন ৯৮ ভরি নিয়ে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারের এক স্বর্ণের দোকানে বিভিন্ন গহনা তৈরির জন্য আসেন। তাঁতিবাজারের স্বর্ণের দোকানটি বন্ধ থাকায় বরুণ ঘোষ সেখান সিঙ্গাইর ফিরে যাওয়ার জন্য একই পথে রওনা করেন। ফিরতি পথে জিনজিরা জনি টাওয়ারের সামনে পুলিশের পোশাক পরিহিত একদল ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে বরুণের কাছে অবৈধ মালামাল আছে- এমন অভিযোগে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।

ডাকাতরা গাড়িতে তুলে বরুণ ঘোষের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা বরুণের কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণের বার, স্বর্ণ চালানের কাগজপত্র ও নগদ ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের নির্জন স্থানে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন স্বর্ণের মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে আমরা ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি শনাক্ত করতে সক্ষম হই। এরপর আশুলিয়া, সাভার ও ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত দলে একজন পুলিশ সদস্য ও এক নারী রয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামান, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, মো. রহমান, উত্তম মজুমদার, মো. জাকির হোসেন, মো. শরীফ, আনন্দ পাল, নাহিদা নাহার মেমী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান কিভাবে ডাকাত দলের সঙ্গে যুক্ত হলেন? এই দলটি অন্য কোনো ডাকাতিতে জড়িত কিনা? দলে কারা কারা আছে? এসব বিষয়ে জানতে গ্রেফতারকৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। যে কারণে আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পুলিশসহ ৮ জন গ্রেফতারের পর ডাকাতির ৫১ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার

আপডেট টাইম : ০৭:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কেরানীগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামানসহ ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫১ ভরি ৬ রতি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রয়ের ১৫ লাখ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২ আগস্ট মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার গোবিন্দল জামটি বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুণ ঘোষ ৮ পিস তেজাবী স্বর্ণ (গলানো স্বর্ণ) ওজন ৯৮ ভরি নিয়ে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারের এক স্বর্ণের দোকানে বিভিন্ন গহনা তৈরির জন্য আসেন। তাঁতিবাজারের স্বর্ণের দোকানটি বন্ধ থাকায় বরুণ ঘোষ সেখান সিঙ্গাইর ফিরে যাওয়ার জন্য একই পথে রওনা করেন। ফিরতি পথে জিনজিরা জনি টাওয়ারের সামনে পুলিশের পোশাক পরিহিত একদল ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে বরুণের কাছে অবৈধ মালামাল আছে- এমন অভিযোগে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।

ডাকাতরা গাড়িতে তুলে বরুণ ঘোষের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা বরুণের কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণের বার, স্বর্ণ চালানের কাগজপত্র ও নগদ ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের নির্জন স্থানে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন স্বর্ণের মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে আমরা ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি শনাক্ত করতে সক্ষম হই। এরপর আশুলিয়া, সাভার ও ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত দলে একজন পুলিশ সদস্য ও এক নারী রয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামান, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, মো. রহমান, উত্তম মজুমদার, মো. জাকির হোসেন, মো. শরীফ, আনন্দ পাল, নাহিদা নাহার মেমী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান কিভাবে ডাকাত দলের সঙ্গে যুক্ত হলেন? এই দলটি অন্য কোনো ডাকাতিতে জড়িত কিনা? দলে কারা কারা আছে? এসব বিষয়ে জানতে গ্রেফতারকৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। যে কারণে আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।