হাওর বার্তা ডেস্কঃ অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিকে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ম্যাচেও বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সাবিনারা ৬-০ গোলে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেেশের মেয়েরা দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুইবার বল পাঠায় পাকিস্তানের জালে।
মালদ্বীপকে উড়িয়ে দিয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষেও সহজ জয়ে সেমিফাইনালের টিকিট প্রায় নিশ্চিত করলো। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে হারালে ভারত যেমন নিশ্চিত করবে সেমিফাইনাল, তেমন বাংলাদেশের সেমিফাইনালও নিশ্চিত হবে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এই প্রথম মুখোমুখি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রথম সাক্ষাতেই সাবিনা-স্বপ্নারা বুঝিয়ে দিয়েছেন দুই দেশের নারী ফুটবলের শক্তি পার্থক্য।
এগিয়ে যেতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে সাবিনার ব্যাক পাস। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মনিকা চাকমা চলন্ত বলে দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে পরাস্ত করেন পাকিস্তানের গোলকিপার শাহিদ বুখারীকে (১-০)।
দ্বিতীয় গোল পেতে বাংলাদেশকে আরো ২৮ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হয়। সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে মারিয়া মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে সাবিনাকে দেন। সাবিনা দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল ঠেলে দিলে সিরাত জাহান স্বপ্না প্লেসিং শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। মিনিট দুয়েক পরই আবার গোল বাংলাদেশের। মনিকা চাকমার পাস ধরে বক্সের ভেতরে দাঁড়িয়ে আলতো শটে বল জালে জড়ান সাবিনা খাতুন (৩-০)।
আখির খাতুনের লম্বা পাস ধরে ডান প্রান্ত দিয়ে সানজিদা আক্তার ক্রস নিলে পোস্টের ঠিক সামনে থেকে আলতো টোকায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সাবিনা খাতুন।
বিরতির পর বাংলাদেশের গোল ব্যবধান ৫-০ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ৫৯ মিনিটে মারিয়া মান্ডার ক্রস থেকে হেডে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সবিনা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এটি সাবিনার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। ২০১৬ সালে ভারতের শিলিগুঁড়িতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ গোল করেছিলেন বাংলাদেশের গোলমেশিনখ্যাত সাবিনা খাতুন।
ষষ্ঠ গোল করেছেন বদলি খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ৭৭ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে শট করে গোল করেন এই পাহাড়ি কন্যা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিপক্ষে ১৩ সেপ্টেম্বর।
বাংলাদশে দল: রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভীন, আঁখি খাতুন, শিউলি আজমি (নীলুফার ইয়াসমনি), মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার, সানজিদা আক্তার ( মাজিয়া ), কৃষ্ণা রানী সরকার (ঋতুর্পণা চাকমা), সিরাত জাহান (তহুরা) ও সাবিনা খাতুন (শামসুন্নাহার জুনয়ির)।