ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে মুশফিকের অবসর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৯৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান পাচ্ছিলেন না দীর্ঘদিন। অভিজ্ঞতার বিবেচনায় তবুও টিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাতের মুঠোয় পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারছিলেন না কোনোভাবেই।

বাদ পড়ার পর এশিয়া কাপ দিয়ে ফিরেছিলেন টি-টোয়েন্টি দলে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে রান না পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ব্যর্থ হন মুশফিক। সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ক্যাচ মিস, ক্যাচ নিয়েও রিভিউ না নিতে পারার ব্যর্থতায় প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন তিনি।

তাই তো নিজ থেকেই এ ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণা দেন মুশফিক।
তিনি লেখেন, ‘টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি। তবে, বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবো। আশা করছি এই দুই ফরম্যাটে আমি আরও কিছু নিয়ে আসতে পারবো দেশের জন্য।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন মুশফিক, ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সহ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আমি আমার খেলা চালিয়ে যাবো টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে।’

মুশফিকের আগে এই ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাট ও টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন নিয়মিত।

বাংলাদেশের হয়ে ১০২ টি-টোয়েন্টিতে ১৫০০ রান করেছেন মুশফিক। যেখানে ব্যাটিং গড় ছিল ১৯.৪৮, স্ট্রাইক রেট ১১৫.০৩। নামের পাশে রয়েছে ৬টি ফিফটি। টেস্ট ও ওয়ানডের মতো এই ফরম্যাটে মুশফিকের ব্যাটিং গড় ও স্ট্রাইক রেট আন্তর্জাতিক মানের নয়। এই ফরম্যাটে অন্তত ১৫শ রান করা বিশ্বের ৪৬ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবচেয়ে কম গড় ও স্ট্রাইক রেট তার। ১৫শ রান করা ব্যাটসম্যানের মধ্যে মুশফিকই একমাত্র, যার ব্যাটিং গড় ২০-এর নিচে। তার চেয়ে কম রেটে ব্যাটিং করেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে তার বেশ কয়েকটি ভালো ইনিংস রয়েছে। ২০১৯ সালে তার অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসে ভর করে দিল্লিতে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে তার ৩৫ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ ২১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল। তারও আগে ২০১১ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওভারে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের চারটি জয়ের নায়ক তিনি।

তবে তার চিরকালের আক্ষেপ থেকে যাবে ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ভারতের কাছে পরাজয়। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ মুশফিক যেভাবে হারিয়েছিলেন, তা কল্পনাকেও যেন হার মানায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে মুশফিকের অবসর

আপডেট টাইম : ০২:৫২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান পাচ্ছিলেন না দীর্ঘদিন। অভিজ্ঞতার বিবেচনায় তবুও টিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাতের মুঠোয় পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারছিলেন না কোনোভাবেই।

বাদ পড়ার পর এশিয়া কাপ দিয়ে ফিরেছিলেন টি-টোয়েন্টি দলে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে রান না পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ব্যর্থ হন মুশফিক। সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ক্যাচ মিস, ক্যাচ নিয়েও রিভিউ না নিতে পারার ব্যর্থতায় প্রবল সমালোচিত হচ্ছিলেন তিনি।

তাই তো নিজ থেকেই এ ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণা দেন মুশফিক।
তিনি লেখেন, ‘টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি। তবে, বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবো। আশা করছি এই দুই ফরম্যাটে আমি আরও কিছু নিয়ে আসতে পারবো দেশের জন্য।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছাড়লেও ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন মুশফিক, ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সহ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আমি আমার খেলা চালিয়ে যাবো টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে।’

মুশফিকের আগে এই ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাট ও টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন নিয়মিত।

বাংলাদেশের হয়ে ১০২ টি-টোয়েন্টিতে ১৫০০ রান করেছেন মুশফিক। যেখানে ব্যাটিং গড় ছিল ১৯.৪৮, স্ট্রাইক রেট ১১৫.০৩। নামের পাশে রয়েছে ৬টি ফিফটি। টেস্ট ও ওয়ানডের মতো এই ফরম্যাটে মুশফিকের ব্যাটিং গড় ও স্ট্রাইক রেট আন্তর্জাতিক মানের নয়। এই ফরম্যাটে অন্তত ১৫শ রান করা বিশ্বের ৪৬ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবচেয়ে কম গড় ও স্ট্রাইক রেট তার। ১৫শ রান করা ব্যাটসম্যানের মধ্যে মুশফিকই একমাত্র, যার ব্যাটিং গড় ২০-এর নিচে। তার চেয়ে কম রেটে ব্যাটিং করেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে তার বেশ কয়েকটি ভালো ইনিংস রয়েছে। ২০১৯ সালে তার অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসে ভর করে দিল্লিতে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে তার ৩৫ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ ২১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল। তারও আগে ২০১১ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওভারে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের চারটি জয়ের নায়ক তিনি।

তবে তার চিরকালের আক্ষেপ থেকে যাবে ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ম্যাচে ভারতের কাছে পরাজয়। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ মুশফিক যেভাবে হারিয়েছিলেন, তা কল্পনাকেও যেন হার মানায়।