হাওর বার্তা ডেস্কঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে তিন পেসার ফর্মুলা কাজে দেয়নি। তবু আফগানিস্তানের বিপক্ষে শারজার ধীরগতির খানিক নিচু হওয়া উইকেটে ৩ পেসার নিয়ে মাঠে নামা এবং শেষ পর্যন্ত পেসারদের অকার্যকরিতায় ঘটেছে সর্বনাশ। শেষ ৫ ওভারে ৫২ রান যখন দরকার, তখন সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজের করা ১৭ ও ১৮ নম্বর ওভারে ৩৯ রান পেয়ে যায় আফগানরা।
তাতেই তাদের সমীকরণ সহজ হয়ে খেলা হাতের মুঠোয় চলে যায়। অনেকের মত, পেসারদের ঐ আলগা বোলিংয়ের কারণেই সম্ভাব্য এক জয় হয়েছে হাতছাড়া। এখন প্রশ্ন হলো, আজ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাঁচা-মরার লড়াইয়েও কি ৩ পেসার নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ? দলে কি কোনো পরিবর্তন ঘটবে?
যারা ভাবছেন, বাংলাদেশ আজ লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন পেসার ফর্মুলা থেকে সরে আসবে, তাদের জন্য আছে একটি ছোট্ট তথ্য, আজ কিন্তু শারজায় খেলা না। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হবে দুবাইয়ে। যে মাঠে হয়েছিল দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মহা দ্বৈরথ।
সে ম্যাচের চালচিত্রই বলে দিচ্ছে দুবাইয়ের উইকেট শারজার মত ব্যাটিং সহায়ক ও পেস-বাউন্স একটু বেশি। বল শারজার চেয়ে দ্রুত ব্যাটে আসে, বাউন্সও একটু বেশি থাকে। পেসারদের বল বেশ ভালো ‘ক্যারি’ করে। সেই ম্যাচ থেকে পরিস্কার, দুবাইয়ের উইকেটে পেসারদের দাপটই বেশি।
সেই পিচে একজন পেসার কম নিয়ে খেলা মানেই বাড়তি ঝুঁকি। এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট কি ঐ বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাইবে? তারপরও একজন পেসার কমিয়ে ফেললে অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ বা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের কেউ একজন অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এর বাইরে আর একটি পজিশনে রদবদল ঘটতে পারে, সেটি ওপেনিং জুটিতে। প্রথম ম্যাচে এনামুল হক বিজয় (১৪ বলে ৫) ও নাইম শেখ (৮ বলে ৬) ভালো খেলেননি। দুজনই পাল্লা দিয়ে সমান খারাপ খেলেছেন। তাই যেকোনো একজনকে বাদ দেওয়া কঠিন।
তাদের একাদশে রেখেই নিচ থেকে কাউকে ‘মেকশিফট’ ওপেনার হিসেবে খেলানোর চিন্তা থাকতে পারে। সে সম্ভাবনা কম বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আজও হয়তো নাইম-বিজয়ের ওপেনিং জুটি দেখা যাবে।
সবচেয়ে বড় কথা হারলেই বাদ, এমন কঠিন সমীকরনের ম্যাচে কাউকে দলে নেওয়ার অর্থ তাকে বাড়তি চাপে ফেলে দেওয়া। তাই বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা আসলে কম।